শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

CKD -এর উপসর্গের মধ্যে আছে: প্রাথমিক উসর্গ সাধারণভাবে যখন বৃক্কের (কিডনি) ক্ষমতা বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখনও মানবশরীরের কাজকর্ম ঠিকভাবেই চলতে থাকে। কাজেই, প্রথমদিকে CKD-র উপসর্গ তেমনভাবে পরিলক্ষিত হয় না। CKD-র প্রাথমিক উপসর্গ সাধারণভাবে অস্পষ্ট। এই সব উপসর্গের মধ্যে আছে: ক্ষুধামান্দ্য।   বমিভাব। শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি (প্রুরিটাস)। মাথাধরা। শরীর খারাপ লাগার অনুভূতি ।  ক্লান্তি। নিজের চেষ্টা না থাকা সত্বেও ওজনহ্রাস, যে উপসর্গের কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।. যদি নিয়মিত রক্ত বা মুত্র পরীক্ষা করে কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয় তাহলে এরকম প্রাথমিক পর্যায়ে CKD নির্ণয় সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে CKD  নির্ণয় এবং চিকিৎসা সম্ভব হলে ব্যাধির বৃদ্ধি রোধ সম্ভব হতে পারে। উত্তরকালের উপসর্গ যদি কিডনির রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা সম্ভব না হয় বা চিকিৎসা সত্ত্বেও অসুস্থতা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে তাহলে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে: কিডনির সমস্যার কারণে রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রায় হেরফেরের দরুন হাড়ে ব্যাথা। শরীরে জল জমে যাওয়ার কারণে হাত এবং গোড়ালি ফুলে যাওয়া এবং অসাড় হয়ে যাওয়া। শরীরে বর্জ্য জমে যাওয়ার জন্য নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ যার সঙ্গে অ্যামোনিয়া বা আঁশটে গন্ধের সাযুজ্য আছে। ক্ষুধামান্দ্য এবং ওজন হ্রাস। বমি। বারবার হিক্কা তোলা।  প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি, বিশেষত রাত্রে। শাসকষ্ট। ক্লান্তি। মল-মুত্রের সঙ্গে রক্তক্ষরণ। চিন্তা-ভাবনা বা  মনোযোগের অভাব। পেশিতে টান ধরা/ খিল বা স্প্যাজম।  অল্প আঘাতে ক্ষত তৈরি হওয়া। বারবার জল খাওয়ার প্রবণতা। ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া (অ্যামিনোরিয়া)। অনিদ্রা (ইনসমনিয়া)। ত্বকের রঙের পরিবর্তন হয়ে খুব হাল্কা বা গাঢ় হয়ে যাওয়া। যৌন ক্রিয়াকলাপে অক্ষমতা। CKD-র অন্তিম পর্যায়কে বলা হয় কিডনি/ রেনাল ফেলিওর বা রেনাল অসুস্থতার শেষ পর্যায় (ESRD), যখন ডায়লিসিস অথবা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।