শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ফুসফুসের বায়ু চলাচলের নালীগুলির সংকীর্ণতার কারণে প্রধানত হাঁপানির লক্ষণগুলি দেখা যায়। এইগুলি হল: ঊর্ধ্বশ্বাস অথবা নিঃশ্বাসের দুর্বলতা হাঁপানির রোগীদের সাধারণত: নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, দম বন্ধ লাগে অথবা শ্বাস নিতে ছটফটানি হয়। এগুলি বিশেষ ভাবে হয় যখন হাঁপানি বাড়ে। বুকের ভিতর শোঁ শোঁ আওয়াজ সরু শ্বাস নালীর ভিতর দিয়ে বায়ু চলাচল করার সময় বাঁধার কারণে বুকের ভিতরে উচ্চ ও তীক্ষ্ণ স্বরবিশিষ্ট শব্দ হয়। যখন হাঁপানি কম থাকে তখন সাধারণত শ্বাস ত্যাগ করার সময় এই আওয়াজ হয়। যখন হাঁপানি গুরুতর রূপ ধারণ করে তখন শ্বাস নেওয়ার সময়ও এই শব্দ হয়। যখন হাঁপানি অতি তীব্র আকার ধারণ করে তখন সরু শ্বাস নালী দিয়ে চলাচল করার সময় বাতাস এত বাধা প্রাপ্ত হয় যে তখন এই শব্দ সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত থাকে। এই রকমের শোঁ শোঁ শব্দ অন্য রোগেও পাওয়া যায়, যেমন সিস্টিক ফাইব্রোসিস, হার্ট ফেলিয়োর এবং স্বরতন্ত্রীয় ত্রুটি। তাই বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে হাঁপানি সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরী। কাশি হাঁপানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হচ্ছে কাশি বিশেষত ব্যায়াম-জনিত এবং রাত্রিকালীন হাঁপানির ক্ষেত্রে। এটা শুষ্ক এবং অ-উৎপাদনশীল কাশি।  দম বন্ধ হয়ে আসা অনেক সময় হাঁপানির মাত্র একটি লক্ষ্মণ দেখা যায় যেমন দম বন্ধ হয়ে আসা অথবা বুকে ব্যথা হওয়া। এই লক্ষণ বিশেষত রাত্রিকালীন হাঁপানি এবং ব্যায়াম করার পর হাঁপানিতে দেখা যায়।