শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

রেবিস হচ্ছে প্রোগ্রেসিভ অসুখ অর্থাৎ রোগ বাড়লে উপসর্গ তীব্র হতে থাকে। কোনও ব্যক্তির ভাইরাস সংক্রমণের সময় থেকে যত সময় বাড়তে থাকে তত উপসর্গ পাল্টাতে থাকে। রেবিসের উপসর্গ বাড়তে 30 থেকে 60 দিন পর্যন্ত যে কোনও সময় লাগে। বিভিন্ন পর্যায়ে রেবিস সংক্রমণের উপসর্গ নিম্নলিখিত ভাবে দেখা যায়: ইনকিউবেশন  ( উন্মেষপর্ব ) সংক্রমণের পর প্রথম দিনগুলিতে ক্ষতস্থান ঘিরে চারপাশে শিরশিরানি বা যন্ত্রণার অনুভূতি থাকে। তার সঙ্গে কিছু অস্বাচ্ছন্দ্য যেমন চুলকানি, যা রোগের প্রথম ইঙ্গিত হতে পারে কিন্তু এগুলিকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। প্রোড্রোমাল ধীরে ধীরে বমিভাব, শীত শীত লাগা, ঠান্ডা, এবং জ্বর দেখা যায়। এই পর্যায়ে পেশিতে ব্যাথা এবং অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে অসহিষ্ণুতা দেখা যায়। এই উপসর্গগুলিকে বহু সময়ে সাধারণ ভাইরাস সংক্রমণ বা সাধারণ ফ্লু বলে ধরে নেওয়া হয়।   চূড়ান্ত নিউরোলজিক পিরিয়ড বা অবস্থা  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গ তীব্র আকার ধারণ করে, যখন প্রবল জ্বর আসে, অসংলগ্নতা দেখা দেয়, এবং রোগী আক্রমণাত্মকও হয়ে উঠতে পারে। এই পর্যায়ে রোগীর তড়কা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অন্যান্য যে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে খিঁচুনি, আংশিক পক্ষাঘাত, আলোতে ভয়, ঘন ঘন শ্বাস, এবং লালা ঝরা (হাইপারভেন্টিলেশন) অন্যতম।