শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পায়ের ব্যাথার অন্তর্নিহিত কারণের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসার ধরন কী হবে। পায়ে টান ধরলে বা পায়ের পাতায় পেশিতে হাল্কা ব্যাথা হলে বাড়িতেই তার চিকিৎসা হতে পারে। অতিরিক্ত এবং হঠাৎ শারীরিক পরিশ্রম করলে বা শরীরে জলের অভাব হলে (ডিহাইড্রেশন) পায়ে টান পড়ে, যার জন্য পায়ের পেশিতে চাপ পড়ে, যা নিজে যত্ন নিলেই নিরাময় হয়। পায়ের পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক টান ধরলে প্রথম কাজ হল, যে শারীরিক পরিশ্রমের জন্য সমস্যা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করে দেওয়া। অল্প চাপ দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি হাল্কা ম্যাসাজ করা হলে যন্ত্রণা লাঘব হতে পারে। একটি হিটিং প্যাড বা আইস প্যাক যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করতে পারে। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, যন্ত্রণা কমাতে আইস প্যাকের চেয়ে হিটিং প্যাড বেশি কার্যকর।  যদি হিটিং প্যাড বা আইস প্যাক কাজ না করে তাহলে নন-স্টেরোডিয়্যাল প্রদাহ-রোধী অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি (NSAIDs) ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। অবিলম্বে যন্ত্রণা কমাতে চিকিৎসক অ্যান্টিস্প্যাজম নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। পায়ে আঘাত লেগে থাকলে চিকিৎসক পায়ে প্লাস্টার বা ওয়াকিং বুট পরার পরামর্শ দিতে পারেন, যাতে আক্রান্ত এলাকা হঠাৎ নড়াচড়া করা বা মচকে না যায়। যখন প্লাস্টার খুলে দেওয়া হবে, তখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। উদাহরণস্বরূপ, গোড়ালি মচকে গেলে  3 টি পর্যায়ে উপশম হবে: প্রথম পর্যায়ে থাকবে বিশ্রাম এবং আহত গোড়ালির ফোলা কমানো। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে গোড়ালির নমনীয়তা এবং শক্তি বাড়ানো।  তৃতীয় পর্যায়ে থাকবে সাধারণ গোড়ালি সম্পূর্ণভাবে নিরময় হয়ে দৈনন্দিন কাজকর্মে ফিরে আসা। সায়াটিকা (শ্রোণিশ্রেণিতে ব্যাথা) থেকে উদ্ভূত পায়ের ব্যাথা একযোগে ফিজিওথেরাপির সঙ্গে যন্ত্রণা নিরোধক ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। যন্ত্রণা এবং প্রদাহ কমাতে ব্যায়াম এবং ম্যাসাজের কৌশল ব্যবহার করে ফিজিওথেরাপি করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সায়াটিকা থেকে স্থায়ীভাবে আরাম পেতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। সংবহনজনিত কারণে পায়ের ব্যাথা যেমন ডিপ ভেন থ্রম্বসিস-এর চিকিৎসায় জমাট বাঁধা রক্ত তরল করতে এবং ভবিষ্যতে সমস্যার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে রক্ত পাতলা করার ওষুধ দেওয়া হতে পারে। ব্যাথার মোকাবিলায় সেঁক দেওয়ার মোজা বা কমপ্রেশন স্টকিং ব্যাহার করা যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ