শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যক্ষ্মারোগ হচ্ছে সর্বাধিক গবেষণাকৃত রোগ এবং চিকিৎসার জন্য একটা ব্যাপক বৈচিত্র্যের ওষুধ সহজলভ্য। এই ওষুধগুলিকে ব্যাক্টেরিসাইডাল (যে ওষুধগুলি জীবাণুগুলিকে মারে) এবং ব্যাক্টেরিওস্ট্যাটিক ড্রাগস (জীবাণুগুলির বৃদ্ধি বন্ধ করে, যাতে আমাদের রোগ-প্রতিরোধক কোষগুলি এগুলোকে মারতে পারে) হিসাবে শ্রেণীবিভক্ত করা হয়। সংক্রমণের ধরণ এবং সংক্রমণের তীব্রতার দ্বারা ওষুধের নির্বাচন, ডোজেজ (মাত্রা), এবং চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল স্থির করা হয়।     সুপ্ত সংক্রমণ এটা সাধারণতঃ একটা একক ওষুধের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়, যা ছ’মাস ধরে নেওয়া হয়।   সক্রিয় ফুসফুসগত সংক্রমণ সাধারণতঃ, ফুসফুস-সংক্রান্ত টিবি চিকিৎসা করার জন্য একটা সংমিশ্রণ থেরাপি প্রযুক্ত হয় এবং চিকিৎসা ছয় থেকে নয় মাস ধরে চলে। ফুসফুসের বাইরের সংক্রমণ এটাকে রোগটার অপেক্ষাকৃত বেশি তীব্র ধরণ হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এখানে, প্রথম 6-9 মাসের জন্য বহুবিধ (ওষুধের) সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়, যার পরবর্তী তিনমাসের জন্য একটা একক ওষুধের অল্পস্থায়ী কোর্স অনুসরণ করা হয়।  ওষুধ-প্রতিরোধক সংক্রমণ একটা ওষুধ-প্রতিরোধক সংক্রমণে, জীবাণুগুলি ওষুধগুলির প্রভাবের পাল্টা বিরোধ করার জন্য কিছু কৌশল গড়ে তোলে এবং সেগুলির প্রতিরোধক হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্য প্রথমে, কোন ওষুধ জীবাণুগুলিকে মারার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে সেটা খুঁজে বার করার জন্য সংবেদনশীলতার পরীক্ষা সম্পাদন করা হয় এবং সেই ওষুধ, অন্যান্য ওষুধগুলির সাথে, একটা সংমিশ্রণ থেরাপি হিসাবে দেওয়া হয় এবং প্রতিরোধের ধরণের উপর নির্ভর করে অর্থাৎ বহুবিধ-ওষুধ প্রতিরোধ (এমডিআর-টিবি) অথবা চরম ওষুধ প্রতিরোধ (এক্সডিআর-টিবি), থেরাপি বা চিকিৎসা এবং থেরাপির স্থায়িত্বকাল নির্ণয় করা হয়, যা 18 মাস থেকে 3 বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী  হয়।     যক্ষ্মারোগ চিকিৎসার জন্য সাধারণভাবে যে ওষুধগুলি ব্যবহৃত হয় সেগুলির মধ্যে আছেঃ রিফ্যাম্পিন আইসোনায়াজিড এথামবিউটল পিরাজিনামাইড কোনও ওষুধ-প্রতিরোধক টিবির ক্ষেত্রে, ফ্লুরোকুইনোলোনস এবং অ্যামিকেসিন, ক্যানামাইসিন অথবা ক্যাপ্রিওমাইসিন-এর মত শরীরের মধ্যে প্রয়োগ করার যোগ্য (ইঞ্জেক্টেব্‌ল) ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলি মৌখিক ওষুধগুলির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।  যেহেতু টিবি চিকিৎসা একটা লম্বা সময় ধরে চলে এবং ব্যবহৃত ওষুধগুলির অপেক্ষাকৃত একটা উচ্চতর শক্তি আছে, এই ওষুধগুলির গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলে জানা যায়। এগুলির বেশির ভাগ লিভারের (যকৃৎ) জন্য বিষাক্ত। যদি আপনি নিম্নরূপ উপসর্গগুলির কোন একটা অনুভব করেন, অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের কাছে এটা জানানো জরুরিঃ  সারাক্ষণ বমি বমি ভাব এবং বমি। চামড়ার হলুদ বিবর্ণতা (জন্ডিস)।  খিদে না হওয়া। অবিরাম জ্বর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ