শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ঘুমাতে হবেই ঘুম ছাড়া মানুষ সুস্থ থাকতে পারেনা।  প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক মানুষকে দৈনিক ছয় ঘন্টা ঘুমাতে হবেই।  ছয়ঘন্টা ঘুমানোর পরও যদি অতিরিক্ত ঘুম আসে তা হলে রুটিন করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন ।  আপনি যদি দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো হয়।   শারীরিক সমস্যাও অতিরিক্ত ঘুম  আসার কারণ।                   

মাথায় রাখতে হবে সেই চিরন্তন বাণীও ‘অতিরিক্ত ভাল নয় কিছুই।’ অর্থাৎ অতিরিক্ত ঘুমটাও ক্ষতিকর শরীরের জন্য। অতিরিক্ত ঘুমানো আসলে একটা রোগ যাকে Hypersomnia বলা হয়ে থাকে l এ রোগ হয়ে থাকলে মানুষ সাধারণত দিনে বা রাতে খুব বেশি পরিমানে ঘুমিয়ে থাকে...মানুষ খুব বেশি পরিমানে ঘুমালে অলস হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় l অতিরিক্ত ঘুম স্থুলতা, ডায়বেটিস ,মাথা ব্যথা ,হতাশার অন্যতম কারণ l এছাড়া অতিরিক্ত ঘুমানের ফলে আপনার হার্ট এর অসুখ ও বাড়িয়ে দিবে, ব্লাড প্রেসার বাড়াবে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে l আপনার শরীরের ন্যাচারাল বডি ডিফেন্স কে নষ্ট করে দিবে l দেখুন কত সমস্যা এই অতিরিক্ত ঘুমের, তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন l তাহলেই ঘুম কমিয়ে আনা সম্ভব l আসুন তাহলে জেনে নিই কিভাবে কমিয়ে আনবেন অতিরিক্ত ঘুম। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমান এবং জেগে উঠুন, সকালে ঠিক সময়ে জেগে উঠার জন্যে ঘড়ির সাহায্য নিন। কোন কারণে ঘড়ি দিয়েও না উঠতে পারার সম্ভাবনা থাকলে, বাসায় কাউকে বলে রাখুন যেন আপনাকে ঠিক সময়ে জাগিয়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর চা-কফি পান করবেন না l রাতে ঘুমানোর আধ ঘণ্টা, সম্ভব হলে এক ঘণ্টা আগে কোন গ্যাজেট ব্যবহার নয়, রাত জেগে টিভি দেখা বন্ধ করুন। কারণ দেরিতে ঘুমাতে গেলে সেই রাতে অতিরিক্ত ঘুম হবার আশংকা প্রবল l অনেক সময় শরীরে কোন রোগ থাকলেও অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে। সুতরাং প্রাথমিক পদক্ষেপ গুলো নেয়ার পরেও যদি ঘুম না কমে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আশা করি, উপরের বিষয়গুলো ঠিকঠাক মেনে চললে, আপনি বের হয়ে আসতে পারেন অতিরিক্ত ঘুমের ঘোর থেকে।আশা করি আপনার উত্তরটি পেয়েছেন।