শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সাধারণত ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা ১০০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১০২ দশমিক ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এমনটি থাকলে জ্বর জ্বর বোধ হয়, গা মেজমেজ করে। একে নিম্নমাত্রার জ্বর বা লো গ্রেড ফিভার বলে। এ রকম জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার যেমন কিছু নেই, তেমনি একেবারে উপেক্ষা করাও ঠিক নয়। সত্যি সত্যি জ্বর আসে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রথমে নিয়মিত দিনে চার থেকে পাঁচবার টানা পাঁচ থেকে সাত দিন ভালো থার্মোমিটারে জ্বর মাপা উচিত। যদি তাপমাত্রার তালিকায় সত্যি দিনে বা রাতে জ্বর উঠতে দেখা যায়, তবে সতর্ক হওয়া উচিত। অল্প অল্প জ্বর বা নিম্নমাত্রার জ্বর অনেক সময় উষ্ণ আবহাওয়া, ভারী পোশাক পরা, পানিশূন্যতা বা অনেকক্ষণ রোদে হাঁটাচলার কারণে স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে। শিশুদের দাঁত ওঠার সময়ও এমন জ্বর ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটি যক্ষ্মা, থাইরয়েডের সমস্যা, পেটের নানা জটিলতা, ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগেরও উপসর্গ হতে পারে। কখনও সর্দি বা মাংসপেশির কিছু প্রদাহ বা নিম্নমাত্রার কোনো সংক্রমণ যেমন প্রস্রাবে বা কান-গলা-দাঁতের সংক্রমণে এ রকম জ্বর আসতে পারে। জ্বরের কারণ খুঁজতে অন্যান্য উপসর্গ অনুসন্ধান করতে হবে। এগুলোর মধ্যে খাবারে রুচি কমে যাওয়া, দীর্ঘমেয়াদি সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, কান ও গলাব্যথা, বমি ভাব ও পেট ব্যথা, ওজন হ্রাস, অস্থিসন্ধি ও পেশিতে ব্যথা, পেটে হজমের গোলমাল ইত্যাদি। জ্বরের সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ বিশেষ করে অরুচি, ওজন হ্রাস ইত্যাদি না থাকলে আতঙ্কিত না হয়ে যথেষ্ট বিশ্রাম নিন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তবে শুধু রাতে জ্বর হওয়াটা ভালো কোনো লক্ষণ না। জ্বর দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই এক গাদা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোতে হবে। অযথা অ্যান্টিবায়োটিক ও জ্বরনাশক ওষুধ না খেয়ে রোগ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ