ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের প্রয়ােজনীয়তা ও ব্যবহার • ভ্রাম্যমান বা চলমান ব্যক্তির ডেটা কমিউনিকেশনের প্রয়ােজন হলে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে যােগাযােগ স্থাপন করতে হয়। সময়ের চাহিদা হিসেবে সকলেই এখন ইন্টারনেটের সাথে সার্বক্ষণিক সংযুক্ত থাকতে চায়। কেবলমাত্র ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমেই এটি সম্ভব। • যেসকল স্থানে খুব দ্রুত যােগাযােগ স্থাপন করতে হয়, যেমন- দুর্যোগস্থানে, দূর্ঘটনাকবলিত জায়গা, যুদ্ধক্ষেত্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের প্রয়ােজনীয়তা সর্বাধিক। • দূর্গম কোন এলাকা যেখানে ক্যাবল সংযােগের মাধ্যমে যােগাযােগ সম্ভব নয় সেখানে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে যােগাযােগ স্থাপন করা হয়। • GPS (Global Positioning System) এর মাধ্যমে গাড়ি, বিমান, জাহাজ অথবা কোন ব্যক্তির অবস্থান চিহ্নিত করতে এটি ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ট্যাক্সি ক্যাব প্রতিষ্ঠানগুলাে এ পদ্ধতিতে তাদের গাড়িগুলােকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পরিচালনা করতে পারে। এছাড়া পর্যটন শিল্পে কোন পর্যটকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতেও এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। • বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যন্ত্র মােবাইল ফোন বা স্মার্টফোন ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের সবচেয়ে বড় প্রয়ােগ।ব্রডকাস্ট বা সম্প্রচার জাতীয় অ্যাপ্লিকেশনের জন্য (যেমন- টেলিভিশন সম্প্রচার, রেডিও সম্প্রচার ইত্যাদি)। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের ব্যবহার হয়ে থাকে। • উড়ােজাহাজ বা সমুদ্রগামী জাহাজ চালনায় ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের সাথে যােগাযােগ স্থাপন করা হয়। • বাসা বাড়িতে নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্র দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে রিমােট কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, কম্পিউটারে ব্যবহৃত মাউস-কিবাের্ড, বাচ্চাদের বিভিন্ন দূরনিয়ন্ত্রিত খেলনা যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হয়।