শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

নেটওয়ার্কের প্রয়ােজনীয়তা বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত একাধিক কম্পিউটার যখন আন্তঃসংযােগের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান এবং প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে তখন সম্পূর্ণ সিস্টেমকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা শুধু নেটওয়ার্কও বলা হয়। দুটি কম্পিউটারকে যখন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয় তখন আমরা প্রধান যে সুবিধা পায় তাহলাে দুটি কম্পিউটার পরস্পরের রিসাের্স শেয়ার করতে পারে। রিসাের্স বলতে এখানে তথ্য এবং হার্ডওয়্যার ডিভাইসকে বােঝায়। পার্সোনাল কম্পিউটারকে ব্যক্তিগত ব্যবহারযােগ্য কম্পিউটার বলা হয়। কিন্তু যখন একটি প্রতিষ্ঠানে অনেকগুলাে পিসি ব্যবহার করা হয় তখনও একটি কম্পিউটার মাত্র একজন ব্যবহারকারীই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যদি কম্পিউটারগুলাের মধ্যে উপযুক্ত নেটওয়ার্ক গড়ে তােলা যায় তাহলে এক কম্পিউটারের তথ্য অন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে কাজের অনেক সুবিধা হয়। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একটি মাত্র হার্ডওয়্যার ডিভাইস একজন ব্যবহার না করে অনেকে একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারে। যেমন ধরা যাক একটি অফিসে কম্পিউটার আছে পাঁচটি এবং প্রিন্টার আছে একটি। প্রিন্টার দিয়ে সবসময় কাজ করা হয় না। ফলে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঁচজন ব্যবহারকারী প্রিন্টারটি শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। আজকাল আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি। ইন্টারনেটও এক ধরনের নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে আন্তঃসংযােগ মাধ্যম হিসাবে তার, অপটিক্যাল ফাইবার, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহৃত হয়। এই মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে এক কম্পিউটার হতে তথ্য অন্য কম্পিউটারে সঞ্চালিত হয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত প্রতিটি কম্পিউটারই একটি স্বতন্ত্র কম্পিউটার হিসাবে কাজ করতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ