শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জাবেদার প্রয়োজনীয়তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ ১। স্থায়ী হিসাব সংরক্ষণ: লেনদেনসমূহ সংঘটিত হওয়ার পর লেনদেনগুলোকে তারিখের ক্রমানুসারে স্তায়ীভাবে হিসাবের প্রাথমিক বই জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ফলে দিনের সংঘটিত লেনদেনের সংখ্যা, মোট অর্থের পরিমাণ ও কীভাবে এবং কী কারণে লেনদেন সংঘটিত হয়েছিল তা জাবেদা থেকে পাওয়া যায়। ২। ভবিষ্যত তথ্য প্রদানে সহায়তা: জাবেদা ভবিষ্যত তথ্য পরিবেশনে সহায়তা করে থাকে। লেনদেনগুলোকে প্রথম জাবেদাভুক্ত করা হয়। উক্ত জাবেদা থেকে হিসাবের পাকা বই খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা হয়। খতিয়ান থেকে রেওয়ামিলে প্রস্তুত করা হয়। সুতরাং বলা যায় ভবিষ্যতে সঠিত তথ্য প্রদানে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে জাবেদা। ৩। ভূলত্রুটি উদঘাটন ও সংশোধন: লেনদেনসমূহকে প্রাথমিকভাবে খসড়া আকারে জাবেদাভুক্ত করা হয় বলে কোনো সময় ভূলত্রুটি ধরা পড়লে তা সহজে সংশোধন করা যায়। ৪। দু-তরফা দাখিলা পদ্ধতির প্রয়োগ: দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতিটি লেনদেনকে হিসাব খাতনুযায়ী ডেবিট ও ক্রেডিট করে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে মোট ডেবিট ও মোট ক্রেডিট লেনদেনের পরিমাণ জানা যায়। ৫। সুষ্ঠু ফলাফল নির্ণয়: যেহেতু তারিখের ক্রমানুসারে লেনদেনগুলো সংরক্ষণ করা হয় সেহেতু জাবেদার মাধ্যমে দ্রুত খতিয়ান নির্ণয় করা সহজ হয়ে পড়ে যা একটি নির্দিষ্ট সময় শেষে সুষ্ঠু ফলাফল নির্ণয়ে বিশেষভাবে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ