লিভার বিকলতা প্রধানত দুই ধরনের হয়: অ্যাকিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী। তীব্র লিভার বিকলতা হঠাৎ করে শুরু হয়- কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে। উপসর্গগুলি হল: হলদেটে ত্বক এবং চোখ (জন্ডিস)। বমি ভাব এবং বমি করা। শারীরিক অবসাদ এবং বিভ্রান্তি। গুরুতর লিভার বিকলতা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে, একে সেরিব্রাল এনসেফালোপ্যাথি বলে, যা স্থান এবং সময়ের স্থিতিবিন্যাসের ক্ষতি করে। দীর্ঘস্থায়ী লিভারের ব্যর্থতা বা বিকলতায় উপসর্গ প্রকাশ পেতে কয়েক মাস বা এমনকি বছর খানেক লেগে যেতে পারে। এক্ষেত্রে তীব্র লিভার ব্যর্থতা উপসর্গ ছাড়াও, অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়: পায়ে তরল জমা হওয়ার কারণে ফুলে ওঠা। পেটে জল জমা (অ্যাসাইটস)। ওজন হ্রাস। একনাগাড়ে রক্তপাত। তৃতীয় ধরনটিকে অ্যাকিউট-অন-ক্রনিক লিভার ফেইলিওর বলে, এটি সম্প্রতি ধরা পড়েছে, এক্ষেত্রে লিভারের কার্যকারিতা হঠাৎ খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে দীর্ঘস্থায়ী লিভারের ব্যর্থতা অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে যায়।