শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মাসিকের সময় তলপেটে অনেকেরই ব্যথা করে। একেই ডিসমেনোরিয়া বলে। অধিকাংশ মহিলাদের মাসিকের পূর্বে এবং মাসিক চলাকালীন সময়ে এই ধরনের ব্যথা করে। কারো কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যা এন্ডোমেট্রিওসিস  অথবা জরায়ুরে টিউমারের (Uterine fibroids) কারণে হয়। সাধারণত ছোট বেলায় এই সমস্যা  হলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা লোপ পায় এবং বাচ্চা হবার পর এটি পুরোপুরি  চলে যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে  পরিণত বয়সেও এই  ব্যথা শুরু হয়। লক্ষণ ও উপসর্গঃ ডিসমেনোরিয়া হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো-   * তলপেটে হালকা থেকে ভীষণ ব্যথা, * ধড়ফড়ানি, * মাংসপেশীতে যন্ত্রণা, * পিঠের নিচের দিকে এবং উরুতে ব্যথা ৷ এছাড়া বমি বমি ভাব বা বমি করা,  পাতলা পায়খানা হওয়া, ঘাম হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা ৷ কখন ডাক্তার দেখাবেন? মাসিকের সময় উপরোক্ত লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ার সাথে সাথে গাইনী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ আল্ট্রাসাউন্ড, কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফী, ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং বা এম আর আই, হিস্টেরোস্কোপি, ল্যাপেরোস্কোপি৷ কি ধরণের চিকিৎসা আছে? ননস্টেরয়ডাল প্রদাহ প্রতিরোধক ঔষধ বা এন.এস.এ.আই.ডি সেবন করলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ৷ ব্যথা অল্প হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করলেই যথেষ্ট ৷এছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রক হরমোন পিল, নরমেনস ট্যাবলেট খেলে অনেকের সুস্থ হতে দেখা গেছে ৷ এন্ডোমেট্রিওসিস অথবা টিউমার বা ফাইব্রয়েড এর মত সমস্যা হলে সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করার প্রয়োজন হয় ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ