যে সকল বস্তু থেকে আলো বিকিরণ করে, তাদের আলোক উৎস বা আলোক প্রভব বলে। এদের মধ্যে সূর্য, নক্ষত্র ইত্যাদি হলো আলোর স্বাভাবিক উৎস এবং জ্বলন্ত কাঠ, কয়লা, মোমবাতি, বৈদ্যুতিক বাতি ইত্যাদি হল আলোর কৃত্রিম উৎস।
কোনো দীপ্তিমান বস্তুর কোনো বিন্দু থেকে আলো যেকোনো দিকে যে ঋজু পথ ধরে চলে, সে পথকেই আলোক রশ্মি বলে। সাধারণত তীর চিহ্নিত সরলরেখা দ্বারা আলোক রশ্মিকে নির্দেশ করা হয়।
কোনো ধাতব পৃষ্ঠের ওপর যথেষ্ট উচ্চ কম্পাঙ্কের আলোক রশ্মি বা অন্য কোনো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ আপতিত হলে উক্ত ধাতু থেকে ইলেকট্রন নিংসৃত হয়। এ ঘটনাকে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া বলে।
আলো যে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলো চলাচল করতে পারে তাকে আলোক মাধ্যম বলে (Optical Medium)। আলোর বিস্তারের জন্য বাস্তব মাধ্যমের প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভূ-পৃষ্ঠের বায়ুমন্ডলের উপরে যে মহাশূন্য রয়েছে...
যে মাধ্যমের সমস্ত অংশের ভৌত ধর্ম একই নয় অর্থাৎ যে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আলো সম গতিতে চলাচল করতে পারে না, বিভিন্ন অংশে আলোর গতিবেগ বিভিন্ন হয়, সেই মাধ্যমকে অসমসত্ত্ব আলোক...
যেসব বস্তু থেকে আলো নির্গত হয় বা যে সব বস্তু আলো বিকিরণ করে তাদেরকে স্বপ্রভ বস্তু বা আলোক উৎস বলে। উদাহরণ: সূর্য, তারা বা নক্ষত্র, বৈদ্যুতিক বাতি, জলন্ত মোমবাতি, জোনাকি...
যে আলোক রশ্মিগুচ্ছের রশ্মিগুলি কোন একটি বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হয় বা রশ্মিগুলি পরস্পর থেকে ক্রমশ দূরে সরে যায় তাদের অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছ বলে।