আলোক রশ্মিগুচ্ছ কাকে বলে?

যে যন্ত্রের সাহায্যে আলোক তড়িৎ ক্রিয়ার ভিত্তিতে আলোক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়, তাকে আলোক তড়িৎ কোষ বলে।

কোনো দীপ্তিমান বস্তুর কোনো বিন্দু থেকে আলো যেকোনো দিকে যে ঋজু পথ ধরে চলে, সে পথকেই আলোক রশ্মি বলে। সাধারণত তীর চিহ্নিত সরলরেখা দ্বারা আলোক রশ্মিকে নির্দেশ করা হয়।

যেসব যৌগ এক সমতলীয় আলোর তলকে কৌনিক ঘূর্ণনে পরিবর্তন করে এদেরকে আলোক সক্রিয় যৌগ বলে এবং এসব যৌগের এক সমতলীয় আলোর তল ঘুরাবার ধর্মকে আলোক সক্রিয়তা বলে।

যে পৃষ্ঠ থেকে বাধা পেয়ে আলোক রশ্মি ফিরে আসে ,তাকে আলোক পৃষ্ঠ বলে।

পাশাপাশি অনেকগুলো আলোকরশ্মির সমষ্টিকে আলোক রশ্মিগুচ্ছ বা আলোক কিরণ বলে।

কোন রশ্মিগুচ্ছের অসমান্তরাল আলোক রশ্মিগুলো যদি কোনো এক বিন্দুতে মিলিত হয় বা বর্ধিত করলে যদি মিলিত হয়, তা হলে সেই রশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ বলে।

কোন রশ্মিগুচ্ছের অসমান্তরাল আলোক রশ্মিগুলো যদি কোনো বিন্দু হতে উৎপন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বা ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হয়, তা হলে সেই রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছ বলে।

কোনো ধাতব পৃষ্ঠের ওপর যথেষ্ট উচ্চ কম্পাঙ্কের আলোক রশ্মি বা অন্য কোনো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ আপতিত হলে উক্ত ধাতু থেকে ইলেকট্রন নিংসৃত হয়। এ ঘটনাকে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া বলে।

যে সকল বস্তু থেকে আলো বিকিরণ করে, তাদের আলোক উৎস বা আলোক প্রভব বলে। এদের মধ্যে সূর্য, নক্ষত্র ইত্যাদি হলো আলোর স্বাভাবিক উৎস এবং জ্বলন্ত কাঠ, কয়লা, মোমবাতি, বৈদ্যুতিক বাতি...

যে আলোক রশ্মিগুচ্ছের রশ্মিগুলি কোন একটি বিন্দু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে হয় বা রশ্মিগুলি পরস্পর থেকে ক্রমশ দূরে সরে যায় তাদের অপসারী আলোকরশ্মি গুচ্ছ বলে।