পৃথিবীর সবচাইতে বেশি প্যানপ্যানানি করা দল হচ্ছে নাস্তিক বা নিরীশ্বরবাদী। তারা কখনোই কোনো ধর্ম মানবে না, কোনো খোদা, সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা মানবে না, কিন্তু মহাবিশ্বে যে নিয়ম-নীতি না থাকলে কোনো কিছু টিকবে না— এটা ঠিকই বিশ্বাস করে। এ ধরনের চিন্তা হাস্যকর। নিয়ম থাকবে কিন্তু স্রষ্টা থাকবে না, এটা কখনো হতে পারে? সত্যি কথা বলতে তারা অল্প ভিন্তা করেই সব বুঝে ফেলে। অবশ্য কিছু কাঠমোল্লা, কাঠপুরুত, কাঠভান্তে, কাঠফাদার তাদের ধর্মকে এমন জটিল করে ফেলেছে যে নাস্তিকদের আগমন না হওয়ার কথা না। সূরা আন নাহল (النّحل), আয়াত: ১৯ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُسِرُّونَ وَمَا تُعْلِنُونَ উচ্চারণঃ ওয়াল্লা-হু ইয়া‘লামুমা-তুছিররূনা ওয়ামা-তু‘লিনূন। অর্থঃ আল্লাহ জানেন যা তোমরা গোপন কর এবং যা তোমরা প্রকাশ কর। -এ আয়াতের মানে তো বুঝতেই পারছেন। এখন আসি আরেকটা বিষয়ে। আল্লাহ জানেন কার ভাগ্যে কী আছে। তাই নাস্তিকরা মনে করতে পারে - যদি আল্লাহ জানেনই, এ ধরনের আলতু-ফালতু দুনিয়া আর কাজ-কম্মের মানে কী? হাহ্, বিষয়টা হাস্যকর। এখন বিষয়টা কী, বলব? এক জনের ভাগ্যে একরকম না, অজানা সংখ্যক ভাগ্য লেখা থাকে তাও আবার একই সময়ে। ঐ ব্যক্তি কী করছে, আশাপাশে কী হচ্ছে, ঐ ব্যক্তির নিয়ত কী, আশেপাশের মানুষের নিয়ত কী ইত্যাদি সব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে যেকোনো একটা নির্বাচিত হয়। ঈশ্বর কি আদৌ আছেন? অবশ্যই আছে। মৃত্যুর পর সবই শেষ? আরে মিস্টার, এই দুনিয়াই তো শেষ হয়ে যাচ্ছে! আর অন্য গ্রহে বাস? সে কখনো সম্ভব না। প্রথম বিষয় হলো খরচ, তারপর গ্রহের দূরত্ব, তারপর অক্সিজেনসহ অন্যান্য প্রয়োজনী উপাদান আছে কি না, ঐ গ্রহে প্রাণী থাকলে তা কি নিরীহ নাকি হিংস্র— এগুলো কে চিন্তা করবে? আর আসলেই কি মৃত্যুর পর সবকিছু শেষ? আর ঈশ্বর যদি না-ই থাকেন, আপনি কেন নিয়ম-নীতি মানেন, মনুষ্যসৃষ্ট নিয়মনীতি কেন মানেন, কথন উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছেন না? কাপড়-চোপড় কেন পড়ে আছেন? বাবুগিরি কেন দেখাচ্ছেন? কেন নিজেকে সুন্দর দেখাচ্ছেন? দেহে অতিরিক্ত এক লিটার রক্ত কেন ঢুকাচ্ছেন না? আপনি কি একটা অক্সিজেন কণা নিজ থেকে তৈরী করতে পারবেন? পানি-চক্র না ঘটিয়ে বৃষ্টি ঝড়াতে পারবেন? আরো নতুন নতুন আধান তৈরী করতে পারবেন? মহাবিশ্বে এক চিমটি পরিমাণ আধান-সংখ্যা, কণা-সংখ্যা কমাতে পারবেন? ৪৫ পা-বিশিষ্ট প্রাণী বানাতে পারবেন? আরো একটা চোখ থুতনি কিংবা হাতে বানাতে পারবেন যা নাকের দুপাশে আছে? টাইম মেশিন বানাতে পারবেন? ৪৫ হাজার বিলিয়ন চোখবিশিষ্ট, ৪৫ কোটি বিলিয়ন কান বিশিষ্ট মানুষ বানাতে পারবেন? কোনো মানুষের সাহায্য ছাড়াই আপনি কি ভ্রূণ বানাতে পারবেন? একটা কথা বলি? নাস্তিকরা এমন সুন্দর যুক্তিবাদী ও ভাষ্যকার যে – যা দেখে না, তা বিশ্বাস করবে না।