শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এটি একটি আল্লাহু-তে অবিশ্বাসী প্রশ্ন। আমি নাস্তিকদের অবশ্যই একটি গুনের কথা নিচে আলোচনা করলাম। একটি ব্যাপার কিন্ত সত্য। নাস্তিকরা বিচার বিশ্লেষনে ন্যায় বিচার করতে পারে না। সব সময় অবিচার করে এবং সত্যকে লুকিয়ে রাখে। একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি পরিস্কার হবে। ধরুন আপনার এক পরিচিত নাস্তিক আছে, আপনি সেই বিখ্যাত লোকটির বাড়ীতে যাচ্ছেন। বাড়ীতে গেলেন। নাস্তিক আপনাকে বসতে দিল, আলাপচারিতা শুরু হয়ে গেল, কথা প্রসংগে উনি বললেন এটি তারই বাড়ি, উনি যে এই বাড়ির মালিক তিনি কিন্তু স্বীকার করলেন। তিনি একটি ভালো মোবাইল আইফোন ব্যবহার করেন, আপনি জিজ্ঞেস করতেই উনি তার বিস্তারিত বর্ননা দিল এবং স্বীকার করে নেয় এই মোবাইলটার মালিক তিনি। আরও আলোচনা চলতে থাকে সে অনেক কিছুরই নিজে মালিকানা দাবি করতে থাকে। যেমন তার স্ত্রী, তার ছেলে মেয়ে, তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, তার হাতে করা বাগান, বাড়ির আঙিনার ফলের গাছ বলে আমার নিজের হাতে লাগানো , তার ব্যাংক ব্যালেন্স, আরও বলে এইটি আমার হাত, আমার মাথা ইত্যাদি ইত্যাদি। সব কিছুতেই সে তার নিজের যেগুলি সেগুলির মালিকানা দাবি করে আর যেসব জিনিস তার না সেগুলিকে সে কারা মালিক তা বলে দেয়। যেমন আমার স্ত্রীর মোবাইল, আমার ছেলের সাইকেল ইত্যাদি ইত্যাদি। কি বুঝতে পারলেন, অর্থাৎ ঐ নাস্তিক তার আশেপাশের সব জিনিসের মধ্যেই কাউকে না কাউকে মালিক দেখে। কিন্তু যখন জিজ্ঞেস করা হয় আল্লাহ যদি নাই থাকতেন তাহলে এই পৃথিবীটি কে বানিয়েছেন? উনি তখন অস্বীকার করে। অথচ একটু আগে ঐ তিনিই তার হাতের সামান্য মোবাইলটারও একজন মালিক আছে বলে। আর এত বড় বিশ্ব ভ্রমান্ডকে সে মনে করে এর কোন মালিকানা নেই একা একা তৈরি হয়েছে। নাস্তিক ভাই এর পরনে যে কাপড় চোপড়গুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারেও তিনি কখনো বলেন না এইসব কাপড় চোপড় একা একাই তৈরি হয়েছে কেউ বানান নি। শুরুতে যা বলেছিলাম তা আবার কপি করে বসিয়ে দিলাম, অর্থাৎ সে তার চারপাশের বানানো সব জিনিসকে মনে করে কোথাও না কোথাও তৈরি হয়েছে, কিন্তু এত বড় বিশ্ব ভ্রামান্ডর সৃষ্টির ব্যাপারে সে মনে করে এমনিতেই তৈরি হয়েছে। একটি ব্যাপার কিন্ত সত্য। নাস্তিকরা বিচার বিশ্লেষনে ন্যায় বিচার করতে পারে না। সব সময় অবিচার করে এবং সত্যকে লুকিয়ে রাখে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ