শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বপ্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। শুরুতে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের গবেষণার প্রয়োজনে এ ইন্টারনেট সিস্টেমকে কাজে লাগায়। সেসময় এনএসএফ (NSF) ইন্টারনেটের দায়িত্ব নেয়। ইন্টারনেটের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় এনএসএফ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা মাত্র ৪টি কম্পিউটারের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন প্রথম অভ্যন্তরীণ এ নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর তিনটি কম্পিউটার ছিল ‘ক্যালিফোর্নিয়া’য় ও একটি ছিল ‘উটাহ’-তে। এ যোগাযোগ ব্যবস্থার নাম ছিল ‘ডাপার্নেট’। এরপর শুধু সাফল্যের ইতিহাস। বিশ্বজয়ের বিস্ময়কর সাফল্যের ইতিহাস। তিন বছর যেতে না যেতেই ‘ডাপার্নেট’-এর নাম বদল করতে হয়। কম্পিউটারের সংখ্যা তখন চার থেকে তেত্রিশে পৌঁছায়। এর নাম রাখা হয় আপার্নেট। যার উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক আক্রমণ ঠেকানোর জন্যে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা। সত্তর ও আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। ক্রমশ চাহিদার ভিত্তিতে ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন সর্ব সাধারনের জন্যে এরকম অন্য একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেন। এর নাম দেওয়া হয় ‘নেস্ফেনেট’। তিন বছরের মধ্যে ‘নেস্ফেনেট’-এর বিস্তার সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে গড়ে ওঠে আরও অনেক ছোট-মাঝারি নেটওয়ার্ক। এতে করে এ ব্যবস্থাপনায় কিছুটা অরাজকতা দেখা দেয়। এ অরাজকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে সমস্ত ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবিত হয়। প্রয়োজন দেখা দেয় একটি কেন্দ্রীয় ‘নেটওয়ার্ক’ গড়ে তোলার। গত শতকের নব্বই দশকের শুরুতে এ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়। বিশ্বের মানুষ পরিচিত হয় ‘ইন্টারনেট’ নামক একটি ধারণার সঙ্গে। বর্তমান বিশ্বে এর প্রায় দশ কোটি সদস্য। এ সংখ্যা প্রতিমাসে শতকরা ১০ ভাগ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।