একথা আজ সর্বস্বীকত যে, বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে অপভ্রংশ-আবহট্ঠ থেকে। কিন্তু অপভ্রংশেরও আঞ্চলিক বিভিন্নতা ছিল। সরাসরি প্রাকৃতের মধ্য স্তর থেকে যে বাংলার উদ্ভব হয়নি একথা সকলেই মানেন। স্যার জর্জ গিয়ারসন বলেছেন বাংলা এসেছে মাগধী অপভ্রংশ থেকে। এই মতটি সাধারণভাবে প্রচলিত। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন বাংলার উদ্ভব হয়েছে গৌড়ী অপভ্রংশ থেকে। আর এক দল বলেন, বাংলা সংস্কৃতের দুহিতা, অন্যভাবে সংস্কৃতই বাংলা ভাষার জননী। মাগধী প্রাকৃতের পরের ভাষারূপ হল মাগধী অপভ্রংশ বা অবহট্ঠ এবং এ থেকেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি। একথা গিয়ারসন, সুনীতিকুমার ও সুকুমার সেনও বলেছেন । অনুমান করাই যায় এইরকম একটি সূত্র: মাগধী প্রাকৃত > মাগধী অপভ্রংশ ও অপভ্রষ্ট > মৈথিলি, ওড়িয়া, অসমিয়া, বাংলা। সেক্ষেত্রে বলাই যায়, সুনীতিকুমার, সুকুমার সেন ও দ্বিজেন্দ্রনাথ বসুর অনুসরণে যে, মাগধী অপভ্রংশই বাংলা ভাষার জননী। এসব কিছুর পর এটাই প্রতীয়মান হয় যে দশম শতকে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।

একথা আজ সর্বস্বীকত যে, বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে অপভ্রংশ-আবহট্ঠ থেকে। কিন্তু অপভ্রংশেরও আঞ্চলিক বিভিন্নতা ছিল। সরাসরি প্রাকৃতের মধ্য স্তর থেকে যে বাংলার উদ্ভব হয়নি একথা সকলেই মানেন। স্যার জর্জ গিয়ারসন বলেছেন বাংলা এসেছে মাগধী অপভ্রংশ থেকে। এই মতটি সাধারণভাবে প্রচলিত। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন বাংলার উদ্ভব হয়েছে গৌড়ী অপভ্রংশ থেকে। আর এক দল বলেন, বাংলা সংস্কৃতের দুহিতা, অন্যভাবে সংস্কৃতই বাংলা ভাষার জননী। মাগধী প্রাকৃতের পরের ভাষারূপ হল মাগধী অপভ্রংশ বা অবহট্ঠ এবং এ থেকেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি। একথা গিয়ারসন, সুনীতিকুমার ও সুকুমার সেনও বলেছেন । অনুমান করাই যায় এইরকম একটি সূত্র: মাগধী প্রাকৃত > মাগধী অপভ্রংশ ও অপভ্রষ্ট > মৈথিলি, ওড়িয়া, অসমিয়া, বাংলা। সেক্ষেত্রে বলাই যায়, সুনীতিকুমার, সুকুমার সেন ও দ্বিজেন্দ্রনাথ বসুর অনুসরণে যে, মাগধী অপভ্রংশই বাংলা ভাষার জননী। এসব কিছুর পর এটাই প্রতীয়মান হয় যে দশম শতকে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।