রাত্রিবেলায় হঠাত করে কি যেন মাথার উপর চেপে বসলো। সেখান থেকে বুকে মনে হলো পুরো পৃথিবী আমার বুকের উপর কেউ চেপে ধরে আছে। আমি প্রচন্ড জোরে জোরে চিৎকার করছি আর আমার যত দোয়া দরুদ সূরা জানা আছে সব পড়তে লাগলাম। মনে হচ্ছে আমি মরে যাচ্ছি। কিন্ত আমার চিৎকার ও ছটফট কেউ দেখতে বা শুনতে পাচ্ছে না। মাঝে মাঝে আমার ছোট ভাই কে আমার কাছে রাখতাম। যখন ঔটা হয় ও যেন আমাকে ধাক্কা দেয়। কিন্ত কাজ হতো না।। পরে জানতে পারি ওটা স্লিপ প্যারালাইসিস বা বোবায় ধরা রোগ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
avir

Call

বোবায় ধরাকে (Sleep Paralysis) আমাদের দেশে (ঐতিহাসিক ভাবে বহু জায়গাতেই) জিনের উপদ্রব হিসেবে চিহ্নিত করা হয় প্রায়শয়ই। এর পেছনে একটি কারণ হলো এর কিছু সিমটম থেকে এরকম মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যেমন ঘরে কোনও কারণ ছাড়া শব্দ শুনতে পাওয়া, কালো ছায়া দেখতে পাওয়া বিছানার আশেপাশে বা এরকম বোধ হওয়া যে কিছু একটা আপনার বুকের ওপর চেপে বসেছে। যেহেতু সমস্যাটি খুব কমন সম্ভবত অনেকেরই একবার বা একাধিকবার সমস্যাটি হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে ভালো করে জেনে রাখুন। বোবায় ধরা আসলে কি? বোবায় ধরা হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়া বা ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ে শরীরের কোন অংগ-প্রত্যংগ নাড়াতে না পারার একটি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। অন্যভাবে, যখন কাউকে বোবায় ধরে, তখন সে তার শরীরের কোন অংগ-প্রত্যংগ নাড়াতে পারে না, অসাড়তা অনুভব করে। এটি ঘটে একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়া বা জেগে উঠার আগমুহুর্তে। বোবায় ধরা হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থা এবং জাগরণের মধ্যবর্তী একটি অবস্থান। এটি ঘুমোনর মুহুর্তে অথবা ঘুম থেকে জেগে উঠার আগমুহুর্তে হতে পারে। বোবায় ধরা ব্যক্তিটি প্রায়ই একটি ভয়ের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়, ভয়ের কোন দৃশ্য দেখতে পারে (যেমন, ঘরের ভেতরে কারো অনাকাংখিত উপস্থিতি)।এবং সেই মুহুর্তে বোবায় ধরা ব্যক্তিটি নড়তে পারে না। বোবায় ধরার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ বোবায় ধরার শারীরিক কারণটা খুব সিম্পল। আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়েন আপনার মস্তিষ্ক আপনার মাস্লে সিগন্যাল পাসিং বন্ধ করে দেয় যাতে আপনি স্বপ্ন টপ্ন দেখে শারীরিক ভাবে সেটা অ্যাক্ট করা শুরু না করে দেন। এতে আপনি আহত হতে পারেন। কারও কারও ক্ষেত্রে ঘুম ভাঙার পরও মস্তিষ্ক সাথে সাথে মাস্লে সিগন্যাল পাসিং শুরু করে না। ফলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরও আপনি সাথে সাথে মাস্ল মুভ করাতে পারেন না। সাধারণত ঘুমের রুটিন অনিয়মিত হলে এটি হতে পারে। ধরে নেওয়া হয় REM sleep এ বিঘ্ন ঘটার কারণে বোবায় ধরা ব্যপারটি ঘটে। বোবায় ধরার সাথে কিছু মানসিক রোগ যেমন narcolepsy, migraines, anxiety disorders, and obstructive sleep apnea এর যোগসুত্র আছে বলে ধরা হয়। তবে, এসব মানসিক রোগ না থাকলেও একজন ব্যক্তি বোবায় ধরা এ আক্রান্ত হতে পারে। যখন অন্য কোন রোগের সাথে যোগসূত্র থাকে, বোবায় ধরা সাধারণত স্নায়বিক ব্যাধি narcolepsy এর কারণে হতে পারে। সংগৃহীত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

বোবায় ধরা (ইংরেজি: Sleep paralysis) হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়া বা ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ে শরীরের কোন অংগ-প্রত্যংগ নাড়াতে না পারার একটি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। অন্যভাবে, যখন কাউকে বোবায় ধরে, তখন সে তার শরীরের কোন অংগ-প্রত্যংগ নাড়াতে পারে না, অসাড়তা অনুভব করে। এটি ঘটে একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়া বা জেগে উঠার আগমুহুর্তে। বোবায় ধরা হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থা এবং জাগরণের মধ্যবর্তী একটি অবস্থান। এটি ঘুমোনর মুহুর্তে অথবা ঘুম থেকে জেগে উঠার আগমুহুর্তে হতে পারে। বোবায় ধরা ব্যক্তিটি প্রায়ই একটি ভয়ের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়, ভয়ের কোন দৃশ্য দেখতে পারে (যেমন, ঘরের ভেতরে বা বুকের উপর কারো অনাকাংখিত উপস্থিতি)।এবং সেই মুহুর্তে বোবায় ধরা ব্যক্তিটি নড়তে পারে না। ধরে নেওয়া হয় REM sleep এ বিঘ্ন ঘটার কারণে বোবায় ধরা ব্যপারটি ঘটে। বোবায় ধরার সাথে কিছু মানসিক রোগ যেমন narcolepsy, migraine, anxiety disorder, এবং obstructive sleep apnea এর যোগসুত্র আছে বলে ধরা হয়। তবে, এসব মানসিক রোগ না থাকলেও একজন ব্যক্তি বোবায় ধরা এ আক্রান্ত হতে পারে। যখন অন্য কোন রোগের সাথে যোগসূত্র থাকে, বোবায় ধরা সাধারণত স্নায়বিক ব্যাধি narcolepsy এর কারণে হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমরা অনেকেই কোনও কোনও সময় ঘুমের মধ্যে এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাই । তাই, অভিজ্ঞতাটা খুব পরিচিত হলেও এই সমস্যার নাম অনেকের কাছে অপরিচিত । মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম স্লিপ প্যারালাইসিস । অনেক সময়ই যথারীতি ঘুম থেকে জেগে মনে হয়, কেউ একজন অন্ধকার ঘরে আপনাকে ধরে রেখেছে । আপনি মাথাটা সামান্য ঘুরিয়ে দেখতে চাইছেন, কিন্তু পারছেন না । চিৎকার করছেন অথচ কেউ শুনতে পাচ্ছে না । পালানোর চেষ্টা করছেন অথচ কেউ হয়তো আপনার বুকের ওপর চেপে বসে আছে । আসলে, ঘুমিয়ে পড়ার পরে সাময়িকভাবে নড়া এবং কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে আপনি জানেন, কি ভয়াবহ স্লিপ প্যারালাইসিস । আর আঞ্চলিক বা স্থানীয়ভাবে একে অনেকেই ‘বোবা ধরা’ বলেন । একটি গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ২০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ ঘটনা এটি । মনে করা হচ্ছে, ঘুমের সময় পরিবর্তন, পরিমাণের তুলনায় কম ঘুমানো এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে এমন হয়ে থাকে । দেখা গেছে, চোখের মণির অতিরিক্ত নড়াচড়া, দুঃস্বপ্ন এবং উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পেলে স্লিপ প্যারালাইসিস বেশি হয় । যদিও এটা ভয়ের কোনো বিষয় না, কোনো চিকিৎসা ছাড়াই অল্প সময়ে একাই ভাল হয়ে যায় । তবে, এই ঘটনা বেশি হতে থাকলে ঘুম নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ