কোনো একদিন, এদেশের আকাশে, কালেমার পতাকা দুলবে। সেদিন সবাই খোদায়ী বিধান পেয়ে, দু:খ-বেদনা ভুলবে।। সেদিন আর রবে না হাহাকার, অন‍্যায়-জুলুম-অবিচার।। থাকবে না হাহাকার, দুর্নীতি-কদাচার, সকলেই শান্তিতে থাকবে। সেদিন সবাই খোদায়ী বিধান পেয়ে, দু:খ-বেদনা ভুলবে। একাকিনী রমণী নির্জন পথে যাবে, কোনোজন কটু কথা কবে না। কোনোদিন পথে-ঘাটে, সম্পদের মোহে, খুন আর রাহাজানি রবে না। সেই দিন আর নয় বেশি দূরে,, আরো কিছু পথে গেলে মিলবে। সেদিন সবাই খোদায়ী বিধান পেয়ে, দু:খ-বেদনা ভুলবে। অশান্তির কোপানলে, মরিস না ধুঁকে-ধুঁকে, আয় তোরা দিকে-দিকে ছুটে আয়। যতদিন দূরে যাবে, ততদিন পিছে রবে, শান্তি আসিতে এই দুনিয়ায়। খোদার আইন ছাড়া, অন‍্য কিছুতে আর,, মানুষের শান্তি না মিলবে। সেদিন সবাই খোদায়ী বিধান পেয়ে, দু:খ-বেদনা ভুলবে। এখানে 'খোদার আইন ছাড়া, অন‍্য কিছুতে আর, মানুষের শান্তি না মিলবে' কথাটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মানব রচিত গনতন্ত্রের আইনে দেশ পরিচালনা করলে মানুষের শান্তি কখনো-ই আসবেনা। তাই বলা হয়েছে, খোদার আইন ছাড়া, অন্য কিছুতে আর, মানুষের শান্তি না মিলবে। গণতন্ত্র ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক একটি তন্ত্র। এই তন্ত্রে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জনগণের হাতে অথবা তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধি এর হাতে অর্পণ করা হয়। তাই এ তন্ত্রের মাধ্যমে গায়রুল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বরং জনগণ ও জনপ্রতিনিধির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ তন্ত্রে জনপ্রতিনিধিদের সকলে একমত হওয়ার দরকার নেই। বরং অধিকাংশ সদস্য একমত হওয়ার মাধ্যমে এমন সব আইন জারী করা যায় জনগণ যেসব আইন মেনে চলতে বাধ্য। এমনকি সে আইন যদি মানব প্রকৃতি, ধর্ম, বিবেক ইত্যাদির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবুও। উদাহরণতঃ এই তন্ত্রের অধীনে গর্ভপাত করা, সমকামিতা, সুদি মুনাফার বিধান ইত্যাদি জারী করা হয়েছে। ইসলামি শাসনকে বাতিল করা হয়েছে। ব্যভিচার ও মদ্যপানকে বৈধ করা হয়েছে। বরং এই তন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদেরকে প্রতিহত করা হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে জানিয়েছেন, হুকুম বা শাসনের মালিক একমাত্র তিনি এবং তিনিই হচ্ছেন- উত্তম হুকুমদাতা বা শাসক। পক্ষান্তরে অন্যকে তাঁর শাসনে অংশীদার করা থেকে নিষেধ করেছেন এবং জানিয়েছেন তাঁর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা কেউ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন: অতএব, হুকুম দেওয়ার অধিকার সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহর জন্য। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেওয়ার অধিকার নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০)