আসসালামু আলাইকুম 

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেনimage


আমার সমস্যা টি হচ্ছে গত কয়েক দিন যাবত আমার মাথা থেকে চুল খুবই উঠতেছে। এর কারন কী আমি জানিনা। কোন সঠিক পরামর্শ  ও পাচ্ছি না তাই একটু আপনারা হেল্প করলে অনেক উপকৃত হতাম

এমন কী কাজ করলে, কি ব্যাবহার করলে মাথার চুল পরা বন্ধ হবে

অথবা আপনারা যদি চুল পরার জন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন নিশ্চয় আমাকে বলবেন

 ধন্যবাদ।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমাদের শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে যায়। আয়রনের অভাবে দেহে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা চুলের গোড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।খুব সাধারণ নিয়মে চুলের কিছু যত্ন করলে চুল ভালো থাকে। ১ দিন অন্তর চুল পরিস্কার করা প্রয়োজন। ভেজা চুল আচড়ানো ঠিক নয়। অতিরিক্ত আচড়ানোও ঠিক নয়। খাদ্যভাস এখানে একটি বড় ব্যাপার ফল, শাক সবজি, ডিম, দুধ নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। চুল পড়া রোধে কিছু কার্যকরী টিপস দেখুন এখানে→https://www.jugantor.com/news-archive/online/life-style/2017/08/21/55935/চুল-পড়া-বন্ধে-ঘরোয়া-উপায়

Call

মেহেদী দিয়ে আমার চুল পরা বন্ধ হয়েছিল । তাই আপনি মেহেদী ব্যবহার করে দেখুন ।

Call

আপনি পেয়াজ বেটে এর রস মেসাজ করতে পারতে। এটা চুল পড়া রোধে ভীষণ কার্যকারী।

আপনি পেয়াজ এর রস মাথায় দিতে পারেন যা চুল পড়া বন্ধে খুব কার্যকর এবং কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন ভা গ্রীন টি ঠান্ডা করে তা মাথায় দিতে পারেন ।

Porimolray

Call

@চুল পড়া রোধে নিয়মিত ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খাবেন। @পেয়াজের রস বা পেয়াজ তেল সহযোগে ভেজে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন @ইক্যাপ খেতে পারেন @চুল ছোট অথাৎ মাথা ন্যারা করলে সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। @নিয়মিত শ্যাম্পু করুন।

Call

৭টি ভেষজের কথা যেগুলো চুলপড়া কমাতে বেশ কার্যকর। ১. অশ্বগন্ধা চুল পড়া আটকাতে যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল অশ্বগন্ধা। এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে এমন কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করে যে তার প্রভাবে চুল পড়া ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, পিত্ত দোষের কারণে হওয়া হেয়ার ফল কমাতেও এই অশ্বগন্ধা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২. অ্যালোভেরা এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে চুল পড়লেও মাথা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অ্যালোভেরার উপকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। এতে উপস্থিত অ্যালকালাইন প্রপার্টিজ স্কাল্পের পি এইচ লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়ার হার কমে। কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে? পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে ভাল করে মাথাটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ বার এই ভাবে অ্যালো বেরা জেল মাথায় লাগলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। ৩. মেথি চুল পড়া আটকাতে মেথি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যখনই দেখবেন চুল পড়ার হার খুব বেড়ে গেছে, তখনই অল্প করে মেথি বীজ নিয়ে এক গ্লাস জলে এক রাত ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন বীজগুলি বেটে নিয়ে একটা পেস্ট বানাবেন। সেই পেস্টটা ভাল করে মাথায় লাগিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে নেবেন। টানা একমাস, প্রতিদিন এই মিশ্রনটি মাথায় লাগালে চুল পড়া তো কমবেই, সেই সঙ্গে মাথা ভর্তি চুলের স্বপ্নও পূরণ হবে। ৪. নিম অনেক সময় আমাদের অজান্তেই মাথার ত্বকে হওয়া সংক্রমণ এমন আকার ধারণ করে যে চুল পড়ার হার মারাত্মক বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে নিমকে কাজে লাগালে দারুন উপকার মেলে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ইনফেকশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কীভাবে নিম পাতাকে কাজে লাগাতে হবে? চার কাপ পানিতে পরিমাণ মতো নিম পাতা নিয়ে ফোটাতে হবে প্রথমে। তারপর পানিটা ঠাণ্ডা করে সেই পানিটা ভাল করে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে। তবে গোসলের আগে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাবেন না, বরং শ্যাম্পু করার পর লাগালে বেশি উপকার পাবেন। ৫. তেল ম্যাসেজ চুল পড়া আটকাতে প্রতিদিন তেল ম্যাসেজ করাটা জরুরি। এমনটা করলে স্কাল্পে রক্ত প্রবাহ খুব বেড়ে যায়। ফলে চুলের গোড়া আরও শক্তপোক্ত হয়। আর একবার চুলের গোড়া মজবুত হয়ে গেলে চুল পড়াও স্বাভাবিক ভাবে কমে যায়। এক্ষেত্রে নারকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল অথবা আমলার তেল ব্যবহার করতে পারেন। ৬. পেঁয়াজের রস এতে থাকা সালফার হেয়ার ফলিকেলে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে নিমেষে চুল পড়া কমিয়ে ফেলে। তবে এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজের রসে রয়েছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ, যা স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে স্কাল্প ইনফেকশনের সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ার অশঙ্কাও হ্রাস পায়। কীভাবে চুলে লাগাবেন পেঁয়াজের রস? ১ টা পেয়াজ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রস সরাসরি মাথায় লাগিয়ে মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতিতে চুলের পরিচর্যা করলে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে। ৭. আমলকি চুল পড়া আটকানোর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও আমলকি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি চুলের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে, সেই সঙ্গে স্কাল্পের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ফলে চুল পড়ার প্রবণতা কমে। প্রসঙ্গত, দেহে ভিটামিন-সি-এর ঘাটতি দেখা দিলে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই তো এই ভিটামনিটির ঘাটতি যেন কখনো না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রথমে ১ চামচ আমলকির রসের সঙ্গে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্রণটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।