শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

 যেভাবে সুস্বাদু মাছের তরকারি রান্না করবেন -  প্রয়োজনীয় উপকরনঃ  – যে কোন মাছ (রান্না শুরু করার আগেই মাছে কেটে বা পরিস্কার করে রেখে দিবেন)  – মাঝারি চারটে পেঁয়াজ কুঁচি (পেঁয়াজ একটু বেশী হলে স্বাদ বাড়বে)  – কয়েকটা কাঁচা মরিচ,  – এক টেবিল চামচ আদা বাটা,  – এক টেবিল চামচ দেশী রসুন বাটা,  – ঝাল বুঝে হাফ চামচ মরিচ গুড়া (ঝালের ব্যাপারটা খেয়াল রাখবেন সব সময়েই)  – হাফ চা চামচ হলুদ গুড়া,  – তেল (কম তেলে রান্না করতে চাইলে পানি একটু বেশি দিয়ে দিবেন)  – পানি (মাছ রান্নায় দুই দফা পানি লাগে, ঝোলের সময় একবার, মাছ কষিয়ে নিয়ে আর একবার)  – লবন (যে কোন রান্নায় কম লবন দিয়েই রান্না শুরু করবেন কারন রান্না শেষের আগে আবারো লবন দেয়ার চান্স মিলে, রান্নায় লবন কম বেশি হলে রান্নার মুল স্বাদ মাটি হয়ে যায়) মাছ রান্নার পরে নিম্মের যে কোন দুটোর একটা ব্যবহার করতে পারেন।  – হাফ চা চামচ জিরা গুড়া (শেষে ব্যবহার হবে) আরো দিতে পারেন  – দেশী/বিদেশি ধনিয়া পাতার কুঁচি  বিশেষঃ রান্না তুলে নেয়ার আগে কয়েকটা আস্ত কাঁচা মরিচ দিতে পারেন। মাছ রান্না বাটিতে তুলে নিলে দেখতে ভাল দেখাবে বা যারা ঝাল বেশি পছন্দ করেন তারা তা খেতে পারেন।  প্রনালীঃ  – কড়াইতে তেল গরম করে তাতে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ কুঁচি ভাঁজতে থাকুন।  – পেঁয়াজ কুচি নরম এবং হাল্কা হলদে রঙ হয়ে এলে কাঁচা মরিচ, আদা, ও রসুন দিন এবং আরো কিছু সময় ভাঁজুন।  – এবার প্রয়োজনীয় পানি দিয়ে দিন এবং নাড়ুন।  – এবার হলুদ গুড়া ও মরিচ গুড়া দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে কম আঁচে রাখুন।  – দেখুন সব ভেজষ মিলে মিশে একটা আলাদা ঘ্রান বের হয়ে আসছে এবং তেল উপরে উঠে আসবে।  ব্যস হয়ে গেল মাছ রান্নার ঝোল। এবার শুধু আপনি আপনার পছন্দের মাছ ছেড়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। প্রায় সব মাছ থেকেই পানি বের হয় এবং এই পানিতেই মাছ রান্না হয়ে যায়, যদি ঝোল বেশি রাখতে চান তবে আরো এক কাপ পানি দিতে পারেন। শেষে ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখে জিরা গুড়া বা ধনিয়া পাতার কুঁচি ছিটিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।