শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জেনে নিন তাহলে প্রাকৃ‌তিক ভা‌বে ফেসিয়ালের পদ্ধতি: প্রথমে মুখ ও গলা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে এক টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলায় লাগিয়ে পুরো মুখে ও গলায় আলতো করে বৃত্তাকারে ঘষে নিন। এরপর ত্বকের জন্য প্রয়োজন স্ক্র্যাবিং। ফল দিয়েই স্ক্র্যাব তৈরি করতে পারবেন। কমলার খোসা শুকিয়ে গুড়া করে গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্র্যাব হতে পারে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আদর্শ স্ক্রাব। এছাড়াও স্ট্রবেরীও ত্বকের স্ক্র্যাবার হিসেবে খুবই উপকারী। ঘরে একদমই কিছু না থাকলে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়েও স্ক্র্যাবিং করতে পারবেন ত্বক। স্ক্র্যাবার তৈরি করে পুরো মুখে ও গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। বিশেষ করে নাক, নাকের পাশের ত্বক, থুতনি ইত্যাদি স্থান ভালো করে স্ক্র্যাবিং করে নিন। স্ক্র্যাবিং করা হয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে রুমাল ভিজিয়ে পুরো ত্বক মুছে নিন ভালো করে। হালকা গরম রুমালটি কিছুক্ষণ রেখে দিন ত্বকে। এতে রোমকূপ গুলো খুলবে। এবার ফ্রুট ম্যাসাজের পালা। কলা, দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভাল করে। ঘরে এগুলো না থাকলে পাকা পেঁপে ও দই ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করেও ফ্রুট প্যাক তৈরি করতে পারেন। এবার এই ফ্রুট প্যাকটি পুরো মুখে ও গলায় ভালো করে ১০/১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর বরফ শীতল পানিতে রুমাল ভিজিয়ে পুরো মুখ মুছে পরিষ্কার করে নিন। এতে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর ত্বকে শশার রস লাগিয়ে রাখুন। ১০মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। সবশেষে ত্বকে একটি তুলার সাহায্যে গোলাপজল লাগিয়ে নিন। এটি টোনার হিসেবে কাজ করবে।

Yakub Ali

Call

প্রাকৃতিক ফেসিয়ালের নিয়ম-কানুন

ধাপ-১:

ফেসিয়াল করার আগে একটু বড় গলার জামা ব্যবহার করুন। মাথার চুল আঁচড়ে পেছন দিকে ভালো করে বেঁধে ফেলুন, যাতে মুখ বা কপালের ওপর এসে না পড়ে। সাবান দিয়ে ভালো করে দুহাত ধুয়ে নিন। অল্প পরিমাণে লোশন নিয়ে মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লিনজিং করার পরই ফ্রেশনিং করবেন। তুলা পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি বের করে নিন। এবার ভেজা তুলায় ৫-৬ ফোঁটা ফ্রেশনার ঢেলে নিন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে তুলা বুলিয়ে নিন। আপনার ত্বক স্বাভাবিক বা মিশ্র হলে ফ্রেশনিং করার সময় টোনার ফ্রেশনার বা স্কিন টনিক ব্যবহার করবেন। এবার ময়েশ্চারাইজিং লোশন ভালো করে সারা ত্বকে মেখে নিন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।

 

 

ধাপ-২:

এবার ফ্রেসপ্যাক লাগানোর পালা। এ ক্ষেত্রে ত্বক বুঝে ফেসপ্যাক নির্বাচন করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে মুলতানি মাটির মাস্ক, চন্দনের মাস্ক, মধু ও গাজরের ফেসপ্যাক, অলিভঅয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক, বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক, ময়দা ও মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক, আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক উৎকৃষ্ট। ত্বক শুষ্ক হলে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক মোটামুটি একই জিনিস। দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখমণ্ডলের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হলো ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি।

ধাপ-৩:

মাস্ক মুখে লাগানোর পর মুখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ও ত্বকের ওপর শক্ত হয়ে প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ফেসপ্যাক সে তুলনায় ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে। বাড়িতে মাস্ক বা ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা পালন করা দরকার। যেমন মাস্ক বা ফেসপ্যাক তৈরি করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন সেই পানি দশ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক রাখার পাত্র হিসেবে কাচ বা চীনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। মিশ্রণের জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করা উচিত। মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর সময় বা লাগানোর পর কথা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এ সময় কচি শসা গোল করে কেটে চোখ ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর প্রথমে কুসুম গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখের মাস্ক বা ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন।