শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ফ্রুট ফেসমাস্কের উপকারিতা আপনাকে ফ্রুট ফেসমাস্ক ব্যবহার করার আগে জেনে নিতে হবে ফ্রুট ফেসমাস্ক ত্বকের জন্য আসলেও কতোটা উপকারি। বাজারে কিনতে পাওয়া অন্যান্য যেকোন ফেসমাস্কের চেয়ে ঘরোয়া ফ্রুট ফেসমাস্ক ত্বকের জন্য নিরাপদ আর কার্যকরী। ফ্রুট মাস্ক আপনার ত্বক অত্যন্ত যত্নের সাথে পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বক মশ্চারাইজ ও টোনিং করে। যার ফলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা ছাড়ায় আপনি পান আপনার ত্বকের কাঙ্ক্ষিত উজ্জলতা। টমেটো ফেসমাস্ক: আমাদের অতি পরিচিত টমেটো দিয়ে ফেসমাস্ক বানিয়ে ঝটপট ফর্সা ত্বক পেতে পারি। আপনাকে যা করতে হবে তা হল  ১ টেবিল চামচ টমেটো রস নিন, হাফ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল নিন। সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মাস্ক আকারে মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলা ফেসমাস্ক: একটা কলার অর্ধেকটা নিয়ে ভালোভাবে চটকে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার সেই পেস্টে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন ও আপনার মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিন। হালকা ম্যাসাজ করে এটি ২০ মিনিট ত্বকে রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কের সবচেয়ে বেশী ভালো দিকটি হল এটি সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী। আপেল ফেসমাস্ক: আপেল মাস্ক হিসেবে অসাধারণ। ১ টেবিল চামচ আপেল জুসের সাথে হাফ তেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। এবার এই প্যাকটি আপনার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক পেতে এই মাস্কের তুলনা হয়না আর এটিও সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী। মাস্ক ব্যবহারের কিছু টিপস: মাস্ক ব্যবহার এর আগে আপনার ত্বক পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাস্ক ব্যবহারের আগে নিশ্চিত হন যে আপনার ত্বকে কোন রকমের কোন প্রসাধনী বা মেকআপ নেই। আপনার ত্বকে মাস্ক ব্যবহারের সময় সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি শোয়া অবস্থায় এটি নেন। তবে পুরো শরীর রিলাক্স করে বসে মাস্ক নিলেও সমস্যা নেই। ফেসমাস্ক ব্যবহারের সময় আপনার চোখে অবশ্যই শসার স্লাইস লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। আপনি চাইলে ভেজা তুলার বলও ইউজ করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ