কাহাফ মানে গুহা। আর আসহাবে কাহাফ মানে গুহাবাসী। কাহাফ বলা হয় পাহাড়ের গুহাকে। সেখানে যুবকরা লুকিয়ে গিয়েছিল। আসহাবে কাহাফ কতজন? তাঁদের নাম কী? তাঁদের সাথী কুকুরটির নাম কী? এ নিয়ে অনেক মতামত পাওয়া যায়। কোরআনের বানীঃ কেউ কেউ বলবে, তারা ছিল তিনজন, তাদের চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর এবং কেউ কেউ বলবে, তারা ছিল পাঁচজন, তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর, গায়েবী বিষয়ে অনুমানের উপর নির্ভর করে। আবার কেউ কেউ বলবে, তারা ছিল সাতজন, তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর। বলুন, আমার রবই তাদের সংখ্যা ভালো জানেন; তাদের সংখ্যা কম সংখ্যক লোকই জানে। সুতরাং সাধারণ আলোচনা ছাড়া আপনি তাদের বিষয়ে বিতর্ক করবেন না এবং এদের কাউকেও তাদের বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেন না। (আল-কাহাফঃ ২২) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেনঃ আমি সেই কম সংখ্যক লোকদের অন্যতম যারা তাদের সংখ্যা জানে, তারা সংখ্যায় ছিল সাতজন। আল্লাহ তাআলা তাদের সংখ্যা অস্পষ্ট রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ ওরা ছিল কয়েকজন যুবক, ওরা ওদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছিল। তাদের সংখ্যা বর্ণনা যদি সমধিক গুরুত্বপূর্ণ হত তবে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সকল বিষয়ে অবগত মহান আল্লাহ তাআলা সূরার প্রারম্ভেই ওদের সংখ্যার বিবরণ দিতেন। অর্থাৎ প্রতিপালকই ওদের সংখ্যা নাম ভাল জানেন। আয়াতে “রকীম” দ্বারা উদ্দেশ্য কী এ নিয়ে অনেক মতামত পাওয়া যায়। কেউ বলেছেন, কুকুরের নাম রকীম। শুআয়ব আল জুবাঈ বলেন, তাদের কুকুরের নাম ছিল হামরান।