শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন। এটা কোনো মানুষের কথা নয়, স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা। মানুষকে গোমরাহিতে লিপ্ত করার শপথ নিয়িই দুনিয়াতে আগমন করেছে শয়তান। সুতরাং মানুষকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজত থাকতে হবে। শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচার কৌশলও শিখিয়েছেন আল্লাহ তাআলা এবং দিক নির্দেশনা রয়েছে হাদিসের নববিতে। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য এ বিষেয় তুলে ধরা হলো- শয়তানের প্ররোচনা বিষয়ে কুরআন-হাদিসের বক্তব্য >> আল্লাহ বলেন, ‘যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী। (সূরা আ’রাফ : আয়াত ২০০) সুতরাং শয়তানের প্ররোচনা থেকে আত্মরাক্ষার জন্য পড়তে হবে- উচ্চারণ- আঊ’জুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা নির রাঝিম। অর্থ- আমি বিতাড়িত শয়তানে হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ) >> রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের ঘরসমূহ কবরে পরিণত করবে না। নিশ্চয় শয়তান ঐ ঘর থেকে পলায়ন করে যেখানে সূরা বাকারাহ্‌ পাঠ করা হয়। সুতরাং যাদের সম্ভব সূরা বাক্বারা পাঠ করবে। >> নামাজের মধ্যে শয়তান কুমন্ত্রণা দিলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে (আঊজুবিল্লাহ পড়ে) বাম দিকে তিন বার থুথু ফেলতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম ইরশাদ করেন। (মুসলিম, মিশকাত) >> কুরআন তিলাওয়াতের সময়ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ বলেন, যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় চাইবে। (সূরা নহল : আয়াত ৯৮) কারণ কুরআন তিলওয়াতের সময় যেন কোনো মুমিন বান্দার মন-মগজ বিগড়িয়ে না যায়। >> যখন মনে শয়তানি কার্যক্রম প্রকট আকার ধারণ করবে। মনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাজতের জন্য আযান দিবে। বুখারি ও মুসলিম শরীফের এ কথার সমর্থন রয়েছে। মুমিন বান্দার করণীয়..... শয়তান থেকে মাহফুজ থাকতে চায় তামাম মুসলিম মিল্লাত। শয়তানকে প্রতিটি কাজ থেকে বিতাড়িত করতে হলে মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। উপরোল্লিখিত কাজগুলোর পাশাপাশি এই কাজগুলোও যথাযথভাবে করতে হবে- >> সকাল-বিকাল জিকির আজকার করা >> ঘুমের আগে ও পরে ঘুমের দোয়া পড়া >> ঘরে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া পড়া >> খাবার খাওয়ার আগে ও পরের দোয়া >> মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়াসহ প্রত্যেক কাজের শুরুতে যে সব দোয়ার বিধান রয়েছে, সেগুলো পড়া। >> ইসলামি শরিয়াত কর্তৃক জিকির আজকারসমূহ পড়া। সর্বোপরি... উপরোল্লিখিত দোয়া আমল করতে যারা অপারগ তাদের জন্য শুধুমাত্র ‘আঊজুবিল্লাহ’ই যথেষ্ট। আশা করা যায় উপরোক্ত তাসবিহ, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুমিনবান্দাকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে হেফাজত করবেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম মিল্লাতকে শয়তান থেকে মাহফুজ রাখুন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ