শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অ্যান্ডোজেনিক টাকের জন্য চুল প্রতিস্থাপনই সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা বলে মনে করেন যা খুবি ব্যয়বহুল পদ্ধতি, তবে কয়েক বছরের জন্য যদি মাথায় টাক না দেখতে চান তা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্ষ অনুসারে বাজারে কিছু ঔষধ আছে তা … মিনোক্সিডিল : এটি বাজারে ১%, ২% ও ৫% মাত্রায় পাওয়া যায়। এটি চুলের ফলিকলের বৃদ্ধিকাল বাড়ায়। তবে এটি শুধু এখন সক্রিয় আছে এমন ফলিকলের ওপর কাজ করে। আর যতদিন এটি ব্যবহার করা হয়, ততদিনই শুধু সুফল পাওয়া যায়। — ইহা এক ধরণের লোশন বা সলিউশন যা সরাসরি মাথার ত্বকে ব্যবহার করতে হয়। ফিনাস্টেরাইড : মুখের খাবার ওষুধ এটি। এটি টেস্টোস্টেরোনের কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে। ছোট থেকে মাঝারি আকারে পুরুষালি টাকের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যেহ খেতে হয়। এটির মোট চিকিৎসা ব্যয় মিনোক্সির চেয়ে বেশি পড়লেও এটি বেশ সহনীয়। এই ওষুধটি মিনক্সিডিল অপেক্ষা ভালো এবং চুলপড়া কমানোর পাশাপাশি চুল গজাতেও কার্যকর। তবে সন্তান ধারণক্ষম মহিলাদের এটি ব্যবহার না করাই ভালো। এই ঔষধ সমূহ সাফল্য ও জনপ্রিয়তা ‘হেয়ার-ট্রান্স প্লানটেশন’ এর চাহিদা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তবে যাই করেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে। অন্যথায় মারাত্তবক ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া – অ্যালোনিসিয়া এরিয়েটা ( মাথার বিভিন্ন স্থানে গোল হয়ে সম্পূর্ণ চূল পড়ে যায় ) এর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গন টাক পড়া যায় গায় স্টেরয়েড জাতীয় ইঞ্জেকশনের জন্য সুপারিশ করে থাকেন বা অনেক ক্ষেত্রে মুখে স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট ও খাওয়ার কথা বলে থাকেন-(প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে আকারে বেড়ে যাওয়াটাকে রোধ করা যায় এবং নতুন চুল গজাতে থাকে। প্রতি মাসে একবার ইনজেকশন দিতে হয়। ) মনে রাখতে হবে সে জন্য প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ও অন্যান্য মিনারেল জাতীয় খাবার অবশ্যই জরুরী। ভিটামিন হিসাবে বিটন ( ভিটামিন এইচ এবং ভিটামিন বি৭ ) চুল উঠাতে বেশ ভাল সহায়ক, ( যা লেটুস, গাজর, এবং টমেটো পাওয়া যায়.) এবং খনিজ পদার্থ হিসাবে মূলত চুল ঊটার জন্য বা চুলের ট্রেস ব্রিদ্দিতে নীল সবুজ শেত্তলাগুলি খুভি উপকারী। সংগ্রহীত

চুল পড়া সমস্যার সমাধানের জন্য যে সমাধানটি সবচাইতে বেশী কার্যকর তা হচ্ছে ক্যাস্টর অয়েল। বিভিন্ন উপায়ে এই ক্যাস্টর অয়েল চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই নিরাময় করতে পারবেন। শুধু তাই নয় নতুন করে চুল গজাতেও সাহায্য করবে ক্যাস্টর অয়েল। আর সেই সাথে চুল ও মাথার ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন চিরকালের জন্য। জেনে নিন ব্যবহারবিধি - শুধুমাত্র ক্যাস্টর অয়েল হাতে তালুতে নিয়ে চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসেজ করার অভ্যাস অনেকটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম। - তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যাতে না করা হয়। কারণ ক্যাস্টর অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশী ঘন থাকে যা ধুয়ে ফেলতে কষ্ট হবে। - সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন যদি পুরোরাত ক্যাস্টর অয়েল চুলে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারলে। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন ক্যাস্টর অয়েল। - কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রথমে চুল ধুয়ে নিন ভালো করে। লক্ষ্য রাখবেন যেন পানি বেশী গরম না হয়ে যায়। ২ ভাগ সাধারণ পানির সাথে ১ ভাগ গরম পানি মিশিয়ে নিন সঠিক তাপমাত্রার জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। - আপনি শুধু ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে না চাইলে এতে অন্যান্য তেল যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ইত্যাদি মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও বেশ ভালো ফলাফল পাবেন। - প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো ফলাফল পাবেন। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন। বিস্তারিত লিংকে https://m.priyo.com/articles/অতিরিক্ত-চুল-পড়া-রোধ-করতে-দারুণ-কার্যকরী-মাত্র-১-টি-সমাধান