শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইসলামে সেক্স নীতি স্ত্রী সঙ্গমের জন্য শুধুমাত্র যৌন সঙ্গম বা “ভগাংকুর” ব্যবহার করতে হবে। আরবী…….. খুযাইমা ইবনে সাবেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা হক বিষয় বর্ণনা করতে লজ্জাবোধ করেন না। (আহমদ) আল্লাহ যে নিয়ম-পদ্ধতি মোতাবেক সঙ্গম করা বৈধ করেছেন আর এতেই যে রয়েছে সাংসারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা, সুখ-শান্তি। ব্যক্তি বিশেষে সঙ্গম পদ্ধতি বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। কেহ লম্বা, কেহ বেঁটে এবং সে অনুযায়ী ব্যতিক্রম হয় শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রতঙ্গ যেমন স্ত্রীর যোনি বড় এবং স্বামীর লিঙ্গ ছোট, এক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করলে অথবা স্ত্রী চিৎ হয়ে শুয়ে পা দু’টি খাড়া করে স্বামীর কাধেঁ রাখলে লিঙ্গ যোনি প্রদেশের গভীরে পৌঁছাতে পারে। তাছাড়া অনেকেরই লিঙ্গ সরু অথচ আবার স্ত্রীর যোনি প্রশস্ত নয় অথবা লিঙ্গ স্বাভাবিক অথচ যোনি প্রশস্ত, এ ধরণের ব্যতিক্রম হওয়াই স্বাভাবিক। আমরা পরবর্তী কোন এক অধ্যায়ে সঙ্গম পদ্ধতির আসন সমূহের আলোচনা করব। এগুলো পরিক্ষিত তাই সঙ্গমের জন্য এ পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে সঙ্গম সুখকর হবে। জৈনিক যৌন বিশেষজ্ঞ বলেনঃ অনেকেই মনে করে যে, সঙ্গমের একটিই গ্রহণযোগ্য আসন আছে। তাদের জানা উচিত যে, পরস্পরের ইচ্ছানুযায়ী অন্যান্য আসনেও বেশী যৌন তৃপ্তি পাওয়া যায়। দেখা গেছে, চিরাচরিত আসনে যেসব নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না, তারা নতুন আসন বা অবস্থানে পূর্ণ তৃপ্তি পেয়ে থাকেন। কেবলমাত্র স্বামীই ভাল অবস্থানে থাকবে এমন ভাবনার মধ্যে বাস্তব কিছু নেই। বর্তমানে যেসব আসন জানা সে সব বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন সময় গ্রহণ করা হয়েছে যা বেদনাহীনভাবে এবং আরামদায়কভাবে স্বামী-স্ত্রীর মিলনকে সুখকর করে সেটাই সঠিক। অবশ্য তাতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সম্মতি থাকতে হবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ধর্মীয় পদ্ধতি, বিশেষ করে পবিত্র কোরআনে যেসব সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে আমাদের কোন প্রকার দ্বিধা না করে তা অবলম্বনকরা উচিত। কিছু কিছু কুসংস্কারের কথা বলা হয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর যুগে ইহুদীরা বলত যে, “স্ত্রীর সাথে সম্মুখের দিক দিয়ে সহবাস না করে যদি স্ত্রী গর্ভবতী হয় তবে টেরা চক্ষু বিশিষ্ট সন্তান জন্মলাভ করবে।” স্বামী নীচে ও স্ত্রী উপরে বসে সহবাস করলে স্ত্রী যৌনরোগে আক্রান্ত হবে। স্বামী-স্ত্রী বসে সহবাস করলে উভয়ে বেদনা রোগে আক্রান্ত হবে এবং সন্তান কুঁজো হবে। ডান দিকে কাত বা বামদিকে কাত হয়ে শুয়ে পাশাপাশি সহবাস করলে স্বামী স্ত্রী উভয় লিভার বেদনায় আক্রান্ত হয় এবং ফলে কানা, খোঁড়া, ল্যাংড়া প্রভৃতি সন্তানের জন্ম হবে। দণ্ডায়মান অবস্থায় স্ত্রী সহবাসে স্বামী স্ত্রী উভয়ের স্বাস্থ্য ভঙ্গ হয় অথবা হঠাৎ কোন কঠিন রোগে আক্রান্ত হবে। এ সহবাসে সন্তান জন্মিলে তা নির্লজ্জ, বেহায়া ও লম্পট হয় ইত্যাদি নানা কুসংস্কারমূলক উল্লেখ করা হয়েছে। যৌন মিলনকে সার্থক করে তোলার জন্য যথাযথ চেষ্টা করা সত্বেও যদি পূর্ণমাত্রায় আনন্দ লাভে ব্যতিক্রম হয়, তাহলে বুঝতে হবে আসনের ক্রটি রয়েছে। অতএব রতিক্রিয়ার অন্যান্য কলা-কৌশলের ন্যায় আসন নির্ধারিত সম্বন্দ্বে অবহিত হওয়ার প্রয়োজন আছে। স্বামী স্ত্রীর মিলনের এক ঘেঁয়েমী দূর করার জন্যে আসনের নতুনত্ব সৃষ্টি করার আবশ্যকতা অবশ্যই দাম্পত্য জীবনে রয়েছে। তাছাড়া একজন মোটা আরেকজন পাতলা—এ ধরনের অসুবিধা দূর করার জন্য আসন অবশ্যই পরিবর্তন করতে হয়। এ আসন নির্বাচনের ব্যাপারে কোন প্রকার কুসংস্কারের বশবর্তী হলে চলবে না, নিজ নিজ স্বাস্থ্য, সঙ্গমে সুবিধা, অসুবিধা ও আনন্দের দিকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন প্রকার আসন উদ্ভাবন করতে হবে। অনেক পুরুষের পক্ষে যৌনাঙ্গের অসমতার কারনে স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারেনা। সেক্ষেত্রে আসন সম্পর্কে অবশ্যই চিন্তা করা প্রয়োজন। তাছাড়া বার বার একই আসনের কারণে স্ত্রী পুলকিত নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আসনের পরিবর্তন করা অবশ্যই প্রয়োজন। গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করতে হলে কোন অবস্থার সাথে সঙ্গম করলে গর্ভের কোন ক্ষতি না হয়েও স্ত্রী তৃপ্তি পেতে পারে সে বিষয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়াও দৈহিক আকারের ও অনেক সময় সঙ্গম প্রক্রিয়ায় অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় এমন আসন বেছে নিতে হবে যাতে উভয়ের তৃপ্তি হয়। এ কারণেই স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গম প্রক্রিয়ায় আসন পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পুরুষ জাতির চিরন্তর স্বভাবই নিত্য নতুনের স্বাদ উপভোগ করা। তারা একই নারী বহুদিন ভোগ করার পর ক্রমে ক্রমে তাদের অতৃপ্তি এবং আনন্দে কমতি দেখা দেয়। এমতাবস্থায় দুশ্চরিত্র স্বামী ঘরে সুন্দরী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীদের সঙ্গে যৌন তৃপ্তি মিটানোর চিন্তা-ভাবনা করে। এক্ষেত্রে নারীরাও ব্যতিক্রম নয়। এমনও দেখা যায় স্বামী বিদ্যমান থাকা সত্বেও স্ত্রীর পরপুরুষের সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়। এগুলোর পিছনে রয়েছে স্ত্রীর দোষ। অথবা সামাজিক পরিবেশের কারণেই এগুলোর সৃষ্টি হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি পাপ মুক্ত থেকে তার এক স্ত্রী দিয়েই নিত্য নতুন স্বাদ উপভোগ করতে চায়, তার সহবাস কালে ভিন্ন আসন অবলম্বন ছাড়া দ্বিতীয় পথ নেই। স্বামী-স্ত্রীর সম্মলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আসনের বিভিন্ন রূপ উদ্ভাবন করে নেয়াটাই দাম্পত্য জীবনে উত্তম ব্যবস্থাপনা। তাছাড়া যদি স্বামীর লিঙ্গ মোটা অথচ নারীর যৌনাঙ্গ ক্ষুদ্র ও অগভীর হওয়ায় পরস্পর যৌন মিলন অতৃপ্তিকর বা যন্ত্রণাদায়ক হয়। এ সকল অসুবিধায় বিভিন্ন কৌশলে আসন পরিবর্তনে পূর্ণ আনন্দ লাভ করা যেতে পারে। এজন্য স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা একান্তই আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্বামী চরম উত্তেজনায় লিঙ্গ চালনা করে স্ত্রীর যৌনাঙ্গ ক্ষত যৌনাঙ্গ ক্ষত ও জরায়ুতে মারাত্মক আঘাত লাগতে পারে। এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার হল, স্ত্রী স্বামীকে তার অবস্থা  জানাবে এবং স্বামী স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল হবে ও পরস্পর সহযোগিতায় এমন একটি আসন উদ্ভাবন করবে যাতে স্বামীর দীর্ঘ লিঙ্গ সম্পূর্ণ যোনি পথে প্রবেশ করেনা অথচ যৌন সম্ভোগ বা যৌন তৃপ্তি পূর্ণভাবে লাভ করা সম্ভব হয়। আবার স্বামীর লিঙ্গ ক্ষুদ্র হলে স্ত্রীর পক্ষে যৌন তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, তাই আসনের বৈচিত্র দ্বারা সুন্দর সুফল লাভ করা সম্ভব। তবে এ অবস্থায় যৌন মিলনে লিপ্ত হবার পূর্বে চরমভাবে স্ত্রীকে উত্তেজিত করে এমন এক আসন গ্রহণ করা উচিত যাতে স্ত্রীর পক্ষে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে।(তথ্য সূত্রঃ মাসিক কামনা)  আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ আরবী…….. এবং তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সাথে উত্তম ব্যবহার কর। (সূরা নিসাঃ১৯) উত্তম ব্যবহারের বিশেষ করে তার দৈহিক বা যৌন চাহিদা সময় মত পূর্ণ করা। একজন পুরুষ যেমন যৌন মিলনে তৃপ্তি পায় তেমনি একজন নারীরও রয়েছে যৌন সুখ বা যৌন তৃপ্তি পাওয়ার ব্যাপার। স্ত্রীর যৌন আনন্দের দিকে প্রত্যেক পুরুষের লক্ষ্য রাখা উচিত। তাছাড়া স্ত্রীর অবাধ্যচারিণী বা অহংকারিণী হলেই তাকে মারধর করা বা শক্তভাবে বকা-ঝকা করা অনুচিত। তবে স্বামীর অধিকার রয়েছে তাকে সংশোধন করার। স্বামীর উচিত হবে আল্লাহর বাণীর মাধ্যমে ভয় প্রদর্শন করা এবং নম্রভাবে বুঝাবে, তার পরেও সংশোধন না হলে একই বিছানায় রাত্রি বাস করবে না। যৌন তৃপ্তি দেয়া থেকে বঞ্চিত করবে এবং নতুনভাবে নেক স্ত্রী বিয়ে করার ভয় দেখাবে। আর আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে  নিজ ঘরের শান্তির জন্য দো’আ করবে। হাদীসে বলা হয়েছে— “কোন মুমিন যেন কোন মহিলার প্রতি হিংসা, রাগ ও শত্রুতা পোষণ না করে, কেননা তার কোন একটি দিক তার কাছে খারাপ লাগলেও অন্য একটি দিক তার পছন্দ হবে। (অর্থাৎ দোষ থাকলেও গুণও আছে) অথবা তিনি অনুরূপ কথা বলেছেন।”–(মুসলিম) এ হাদীসে এটাই প্রমাণিত হয়ঃ কোন মুমিন ব্যক্তি যেন আপন স্ত্রীর প্রতি বিদ্বেষ না রাখে। তার কোন একটি দিক খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ আল্লাহ তাদের সৃষ্টিই করেছেন বাঁকা করে। তাই তাদের আচরণ বা কাজ কর্ম তাদের মর্জি মোতাবেক না করতে দিলে তাদের এ বক্রতার রূপ দেখাবেই এবং সে সময় একজন মুমিন ব্যক্তি ধৈর্য ও বুদ্ধির সাথে ও তার স্ত্রীর অপর আরেকটি গুণ ও অপর আরেকটি সুন্দর আচরণের বিবেচনা করে তার এ অপ্রীতিকর ব্যাপরটি মেনে নিবে এবং তাকে ক্ষমা করে দিবে। যদিও তার মনে এ আচরণটি দুঃখ ও বেদনাদায়ক তবুও সে মনে মনে চিন্তা করে নিবে যে, তার স্ত্রীর অন্য আরেকটি আচরণ অত্যন্ত সুন্দর ও সন্তোষজনক। অর্থাৎ, তার সব চরিত্রই মন্দ হবে তা হতে পারে না বরং কিছু চরিত্র ভাল অবশ্যই হবে। অতএব তার ভাল চরিত্রের প্রতি লক্ষ্য করতে মন্দ চরিত্র, কষ্টদায়ক আচরণ এবং ক্রটিসমূহ মেনে নিয়ে সুন্দর রূপে পারস্পরিক জীবন-যাপন করবে। যে একেবারেই নির্দোষ সঙ্গী তালাশ করবে সে হয়ত সর্বদা সঙ্গীবিহীনই থেকে যাবে। (তথ্যসূত্রঃ মাসিক কামনা)   হাদীসে উল্লেখ আছেঃ স্ত্রীকে ক্রীতদাসীর মত মারপিট করা এবং দিনের শেষে আবার তার সাথে সহবাস করার মত আচরণ যেন তোমাদের কেহ না করে। (বুখারী) এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হচ্ছে, স্ত্রীর প্রতি বর্বরতা ইসলাম শিক্ষা দেয়নি। স্বামী-স্ত্রির পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্র এবং উন্নত আচরণের যে শিক্ষা ইসলাম দিয়েছে, তার একটি প্রধান উদ্দেশ্য পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ যেন তাকে ধ্বংস করে না ফেলে। উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে স্ত্রীকে সংশোধন করাই একজন ঈমানদার স্বামীর পরিচয় আর তার স্ত্রী যতই বাঁকা ও অবাধ্যচারিণী হোক না কেন যেহেতু স্বামীর প্রহার বা শক্ত বকা-ঝকা থেকে সে নিরাপদ তাই সে বলতে বাধ্য “আমার স্বামী একজন ভাল মানুষ।” রাসূল্লুল্লাহ (সাঃ) এ সম্বন্ধে বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে এ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম এবং আমি আমার স্ত্রীদের কাছে উত্তম।”–(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ) “ভদ্র ব্যক্তিরাই শুধুমাত্র স্ত্রীদের সম্মান করে থাকে, আর তাদের অপমান অপদস্থ করে অভদ্ররা।”–(বোখারী, মুসলিম) “ওহে! আমি তোমাদের স্ত্রীদের সাথে ভাল ব্যবহার করার উপদেশ দিচ্ছি। কারণ, তারা যে তোমাদের সাহায্যকারিণী।”(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ) উল্লেখিত হাদীস গুলো থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, যদি স্বামীর প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করে তার মোকাবেলায় স্বামী এ মুহুর্তে সবর করবে আর স্ত্রীর ক্রোধ দমে গেলে এর মীমাংসা করবে এবং সহনশীলতা প্রদর্শন করবে আর তাকে ক্ষমা করবে। এ হাতিয়ার দ্বারা যে সুন্দর মীমাংসা হবে অন্য কোন হাতিয়ার দ্বারা তা হবে না বরং হাতিয়ার যত বড় হবে ঝগড়া ও ঘরের অশান্তি ততই ভয়ংকর হবে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ “তুমি সদ্ব্যবহার দ্বারা অসদ্ব্যবহারের মোকাবিলা কর, (তারপর হঠাৎ দেখবে) তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা ছিল সে ব্যক্তি তোমার আন্তরিক বন্ধুরূপে গণ্য হয়েছে।”-(সূরা হামীম সিজদাঃ ৩৪) মন্দের জওয়াবে সদ্ব্যবহার করে ক্ষমা করে দেয়া অতি উত্তম কাজ। এতে সে ব্যক্তি লজ্জিত হবে এবং খারাবীর কোন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকবে। হাদীসে উল্লেখিত হয়েছেঃ তোমরা অন্যদের অনুসারী হতে যেওনা। এরূপ চিন্তা করনা যে, লোকে আমাদের সাথে সদ্ব্যবহার করলেও আমরাও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করব। আর লোকে যদি আমাদের উপর অত্যাচার করে আমরাও অত্যাচার করব। না বরং তোমরা এ দৃঢ়সংকল্প গ্রহণ কর যে, মানুষ যদি তোমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাহলে তোমরা তাদের উপর কোন অত্যাচার করবে না।”-তিরমিযী) আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ তোমরা স্ত্রীদের সাথে সু-ব্যবহার ও সুন্দর জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ; যাতে আল্লাহ অনেক কল্যাণ রেখেছেন।”-(সূরাঃ নিসা-১৯) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বা মন-কষাকষি হওয়া স্বাভাবিক। আর এ সুযোগে শয়তান পরস্পরের মনে নানারূপে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে কম চেষ্টা করে না। আর এরই ফলে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সু-সম্পর্কে ফাটল ধরতে কিছু বিলম্ব হয়না। বিশেষ করে এজন্যেও অনেক সময় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে, অল্পতেই রীগে যাওয়া, অভিমানে ক্ষুদ্ধ হওয়া এবং স্বভাবগত অস্থিরতায় চঞ্চলা হয়ে উঠা নারী চরিত্রের বিশেষ দিক। হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছেঃ “হে মুসলিম! স্ত্রীদের অধিকার সম্পর্কে তোমরা আল্লাহকে অবশ্যই ভয় কর। মনে রেখ তোমরা তাদেরকে আল্লাহর আমানত হিসেবে পেয়েছ এবং আল্লাহর কালামের সাহায্যে তাদের দেহ ভোগ করাকে নিজেদের জন্যে হালাল করে নিয়েছ। আর তাদের উপর তোমাদের জন্যে অধিকার নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, সে কোন ব্যক্তির দ্বারা তোমাদের দু’জনের বিছানাকে কলঙ্কিত করবে না। ”(মুসলিম, আবু দাউদ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্ত্রীদের প্রতি তাদের মৌলিক দুর্বলতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখে সংসার করার জন্যে স্বামীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ “মহিলারা সাধারণত স্বামীদের অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকে এবং তাদের অনুগ্রহকে অস্বীকার করে। তুমি যদি জীবন ভরেও কোন স্ত্রীর প্রতি অনুগ্রহ কর, আর কোন এক সময় যদি সে তার মেজাজের বিপরীত কোন ব্যবহার তোমার মাঝে দেখতে পায় তাহলে তখনি বলে উঠে “আমি তোমার কাছে কোনদিনই সামান্য কল্যাণও দেখতে পাইনি।”-(বোখারী) রাসূলুল্লাহ  (সাঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ এমন স্ত্রীলোকের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করবেন না, যে তার স্বামীর ভাল ভাল কাজের শুকরিয়া জ্ঞাপন করে না।”-(নাসাঈ)