শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পরস্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি পতিত হলে সাথে সাথে দৃষ্টি নত করে নেওয়া উচিৎ। এর পরও যদি মনে কোনরূপ খেয়াল বিদ্যমান থাকে, তাহলে স্ত্রীর সাথে সহবাস করে নেয়া উত্তম। এতে মনের খেয়াল দূর হয়ে যাবে। পরনারীর প্রতি দৃষ্টি পতিত হয়ে মনের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে উহার চিকিৎসা স্বরূপ যে হাদীসে স্ত্রী সহবাসের পরামর্শ দেয়া হয়েছে এতে নিন্মোক্ত কথাটিও বর্ণিত আছেঃ আরবী…….. “এ মহিলার কাছে যা আছে, তোমার স্ত্রীর কাছেও তাই আছে।” মাওলানা ইয়াকুব সাহেব এ বক্তব্যের সুন্দর এক ব্যাখ্যা দান করেছেন। ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত। ১. এ সকল জিনিস যা দ্বারা শুধুই প্রয়োজন সমাধা করা উদ্দেশ্যে হয়, এতে কোন আনন্দ গ্রহণের ইচ্ছা থাকে না, যেমন মল—মূত্র ত্যাগ করা। ২. এ সকল জিনিস যা দ্বারা শুধু আনন্দ গ্রহণই উদ্দেশ্য হয়, যেমন পিপাসা না থাকা সত্ত্বেও সুগন্ধযুক্ত সুস্বাদ শরবত পান করা। জান্নাতে এ উদ্দেশ্যেই শরবত পান করা হবে। ৩. এ সকল জিনিস যাতে প্রয়োজন সমাধা এবং আনন্দ গ্রহণ উভয় উদ্দেশ্যই বিদ্যমান থাকে।   সুতরাং রাসূলে করীম (সাঃ) উপরোক্ত বক্তব্য দানের মাধ্যমে একথাই বলেছেন যে, সহবাসের ক্ষেত্রে যদিও আনন্দ গ্রহণই সর্বোচ্চ উদ্দেশ্য, কিন্তু তোমার উদ্দেশ্য যেন প্রয়োজন সমাধা করাই থাকে। এ উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে নিজ স্ত্রী ও পরনারীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু ব্যভিচারীর উদ্দেশ্য যেহেতু শুধুই আনন্দ গ্রহণ হয়ে থাকে, কাজেই শুধু একজন নারী ব্যতীত দুনিয়ার সকল নারীকেই যদি সে ভোগ করে ফেলে তবুও অবশিষ্ট নারীটি সম্পর্কে তাঁর মনে হবে, “আহা! তাকে ভোগ করতে পারলে না জানি কত আনন্দ অনুভব হবে।” কাজেই এ চিন্তায় সে সব সময় অস্থির থাকে। পক্ষান্তরে যার উদ্দেশ্য থাকে প্রয়োজন সমাধা করার, সে স্ত্রীসম্ভোগের মাধ্যমে প্রয়োজন সমাধা করতে পারে নিশ্চিন্ত ও ভাবনামুক্ত হয়ে যায়।