শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রথমেই রোগীর কোনো বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা উচিত যে রোগীর কোনো রোগ রয়েছে কি না। যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মৃগীরোগ ইত্যাদি এবং রোগী কোনো অসুস্থতার জন্য কোনো ওষুধ গ্রহণ করছিল কি না। এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন কিংবা মৃগীরোগের ক্ষেত্রে।     রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কি-না, সেটি পরীক্ষা করে দেখুন।     রোগীর শ্বাসপথে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে, যেমন—জিহ্বা পেছনের দিকে চলে গেলে সেটি মুক্ত করুন।     এ ক্ষেত্রে দুই চোয়ালের কোনো বুড়ো আঙুল দিয়ে সামনের দিকে ঠেলুন।     মাথা একপাশে কাত করে দিন।     প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিন।     মুখে কিছু খাওয়াবেন না।     কৃত্রিম দাঁত থাকলে সেটা সরিয়ে ফেলুন এবং এক টুকরো কাপড় দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।     রোগীর কাপড়চোপড় ঢিলা করে দিন।     রোগীকে গরমে রাখুন।     রোগীর পা ওপরে তুলুন এবং মাথার নিচের দিকে রাখুন। তবে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রোগীকে এমন করা যাবে না।     রোগীকে একলা রেখে যাওয়া যাবে না।     রোগীর মলমূত্র পরিষ্কার করুন।     রোগীর খিঁচুনি হলে জিহ্বায় যাতে কামড় না লাগে, সে জন্য দুই সারি দাঁতে মাঝে শক্ত কিছু  রাখুন, যেমন—চামচ।     যদি উচ্চ মাত্রার জ্বর থাকে তাহলে কোল্ড স্পনজিং করুন।     বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নিন।     মাথায় আঘাত লাগলে রক্তপাত বন্ধ করতে ক্ষতস্থানে শক্ত ব্যান্ডেজ বাঁধুন। ক্ষতে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করবেন না।