হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা   ১. সব র্শক্তিমান সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস ও ভক্তি স্থাপন করা, সৃষ্টির মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর আত্মারূপে বিরাজ করেন তা জানা এবং সকল সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসায় উদ্দীপ্ত হওয়া। ২. ঈশ্বরের স্বরূপ ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানা এবং উপাসনা-পূজা-প্রার্থনার মাধ্যমে নিজের মানসিক উৎকর্ষ ও সমাজের মঙ্গল সাধনে আগ্রহী হওয়া। ৩. হিন্দুধর্মের সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও হিন্দুধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে জানা এবং হিন্দুধর্মের অনুশাসন, উপাখ্যান, মুনি-ঋষি ও মহাপুরুষদের জীবন চরিত অনুসরণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করা। ৪. সকল ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুসহ নারীপুরুষ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সঙ্গে সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের মানসিকতা অর্জন করা। ৫. ধর্মের অঙ্গ হিসেবে অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে উদারতা ও ত্যাগের মনোভাব অর্জন করা এবং পরমত সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা। ৬. হিন্দু ধর্মাদর্শ অনুসরণে সত্যবাদিতা, সততা, প্রতিজ্ঞা রক্ষা, গুরুজনে ভক্তি, অহিংসা, পরোপকার প্রভৃতি নৈতিক ও সামাজিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে ভালো-মন্দের  পার্থক্য অনুধাবন করে সঠিক পথে চলতে উদ্বুদ্ধ হওয়া। ৭. ধর্মের অঙ্গ হিসেবে শরীরচর্চা, আসন, যোগ ব্যায়াম, পরিমিত আহার ও উপবাসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপনে সচেষ্ট হওয়া। ৮. হিন্দুধর্মের আদর্শ ও উপাখ্যানের মাধ্যমে দেশ প্রেমকে ধর্মের অঙ্গ হিসেবে জানা এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্দীপ্ত হওয়া। ৯. ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে পূজা-পার্বণ, উৎসব-অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানা ও তাতে অংশ গ্রহণে আগ্রহী হওয়া এবং মন্দির ও তীর্থক্ষেত্র সম্পর্কে জেনে পরিদর্শনে আগ্রহী হওয়া।