শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ও’(O) গ্রুপের রক্তদাতাকে সার্বজনীন দাতা বলা হয়। সাধরণভাবে এ্যান্টিবডি ও এ্যান্টিজোনের ভিত্তিতে মানুষের রক্তকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: এ, বি, এবি এবং ও। . যে নির্দিষ্ট রক্তে যে এ্যান্টিজেন নেই, শুধু সেই এ্যান্টিবডি সেখানে পাওয়া যাবে। ‘এ’ ব্লাড গ্রুপে ‘এ’ এ্যান্টিজেন, ‘বি’ ব্লাড গ্রুপে বি এ্যান্টিজেন বিদ্যমান। আবার, ‘এবি’ ব্লাড গ্রুপে ‘এ’ ও ‘বি’ উভয় ধরনের এ্যান্টিজেন থাকে। ‘ও’ ব্লাড গ্রুপে রক্তের কণিকা ঝিল্লিতে কোনো এ্যান্টিজেন নেই। তবে এ্যান্টি-এ ও এ্যান্টি-বি দু’রকমের এ্যান্টিজেনই থাকে। . ‘এ’ গ্রুপের রক্তে থাকা এ্যান্টিবডি ‘বি’ গ্রুপের রক্তে মিশে গেলে, লোহিত রক্তকণিকা জমাট বেধে যায়। একইভাবে ‘বি’ গ্রুপের রক্তের এ্যান্টিবডি ‘এ’ গ্রুপের রক্তের লোহিত রক্তকণিকাকে জমিয়ে ফেলে। অতএব, ‘এ’ রক্তের গ্রুপের গ্রহীতা কোনওভাবেই ‘বি’ রক্তের গ্রুপের দাতার রক্ত নিতে পারবে না। একইভাবে ‘বি’ রক্তের গ্রুপের গ্রহীতাও ‘এ’ রক্তের গ্রুপের দাতার রক্ত নিতে পারবে না। . আবার, ‘এবি’ গ্রুপের রক্তে কোন এ্যান্টিবডি পাওয়া যায় না। অতএব, এরা অন্য গ্রুপের রক্তের লোহিত কণিকাকে জমিয়ে দিতে পারে না। তাই ‘এবি’ রক্তের গ্রুপের গ্রহীতা চারটি রক্তের গ্রুপের ( এ, বি, এবি, ও) প্রত্যেকেরই রক্ত গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য এই গ্রুপের গ্রহীতাকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলে। দাতা হিসেবে এরা নিজ গ্রুপ ব্যতীত অন্য কোন গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবে না। . অপরদিকে, ‘ও’ রক্তের গ্রুপে কোন এ্যান্টিজেন থাকে না। এরা একমাত্র নিজ গ্রুপ ছাড়া অন্য সকল গ্রুপের রক্তের লোহিত রক্তকণিকাকে জমিয়ে ফেলে। তাই রক্ত গ্রহনকালে ‘ও’ রক্তের গ্রুপের গ্রহীতা কেবল নিজ গ্রুপের রক্ত গ্রহণ করতে পারে। তবে, দাতা হিসেবে এরা প্রত্যেক গ্রুপকে (এ, বি, এবি এবং ও) রক্ত দিতে পারে। এই কারনে ও গ্রুপের রক্তদাতাকে বলা হয় সার্বজনীন দাতা।