শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রথম কথা হল  গান বাজনা ইসলামে হারাম করা হয়নি। মানুষের জন্য হারাম সকল বিষয়ই পবিত্র কোরআনে আলোচনা করা হয়েছে। যদি কোনো কিছুকে হারাম বুজতে হয় তাহলে কোরআনের রেফারেন্স লাগবে। কিন্তু কোরআনের এমন একটি আয়াতও নেই যেখানে বলা হয়েছে গান হারাম। কিছু হাদিস আছে যেগুলো গান বাজনাকে অনুমতি দেয়। রুবায়ই বিন্‌তু মু‘আওয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন, আমার বাসর রাতের পরদিন সকালে নবী (সা) আমার নিকট এলেন এবং তুমি (খালিদ ইব্‌নু যাকওয়ান) যেমন আমার কাছে বসে আছ ঠিক সেভাবে আমার পাশে আমার বিছানায় এসে বসলেন। তখন কয়েকজন ছোট বালিকা দুফ্‌ (বাদ্য যন্ত্র ) বাজিয়ে বাদ্‌রে নিহত শহীদ পিতাদের প্রশংসা গীতি আবৃত্তি করছিল। শেষে একটি বালিকা বলে উঠল, আমাদের মাঝে এমন একজন নবী আছেন, যিনি জানেন, আগামীকল্য কী হবে। তখন নবী (স) বললেন এমন কথা বলবে না বরং আগে যা বলছিলে তাই বল। ফুটনোটঃ [১১] একমুখ খোলা অপর প্রান্তে চামড়া লাগানো তবলাকে দুফ্‌ বলা হয়, বিবাহ ও ‘ঈদের দিন আনন্দ প্রকাশের জন্য তা বাজিয়ে নাবালিকা মেয়েদের আপত্তিকর কথা বিবর্জিত গীত গাওয়া নিঃসন্দেহে বৈধ। সহীহ বুখারী : ৪০০১ ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবু বক্‌র (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। এসময় মিনার দিবসগুলোর এক দিবসে তাঁর নিকট দুটি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিলো, নবী (সা) তাঁর চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। হে আবু বক্‌র! ওদের বাধা দিওনা। কেননা, এসব ‘ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিলো মিনার দিন।  সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৮৭ হাদিসের মান: সহিহ এছাড়াও হাদিস আছে (তিরমীজি ৩৬৯০) যেখানে গান বাজনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে একটি হাদিস আছে যেখানে বলা হয়েছে, আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক থাকবে যারা জিনা, সিল্ক, মদ ও বাদ্যকে হালাল করবে। (সহীহ বুখারী : ৫৫৯০)  অর্থাৎ যেসকল গান মানুষের ইমান নষ্ট করে, পাপ কাজে উৎসাহ দেয়, ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, অশ্লীলতা তৈরি করে সেগুলো সম্পূর্ণ হারাম।  অতএব বলা যায় গান যদি হয় অশ্লীল, ইসলাম বিমুখ তাহলে সেটা নিষিদ্ধ। বাকি সব গান জায়েজ আছে। আর দিত্বিয়ত কোরআনে এমন কোনো আয়াত নেই এবং এমন কোনো কোনো হাদিস নেই যেটা বলছে নাচ হারাম। তবে মহিলাদেরকে সবার সামনে প্রদর্শন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই নাচ যদি হয় সঠিক নিয়মে এবং কাউকে প্রদর্শন করার জন্য নয় তাহলে তারও বৈধতা রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ