শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নটি করার জন্য। কিন্তু আপনি এমন একটি প্রশ্ন করেছেন যার উত্তর আমরা সবাই ভুল জানি। কি? অবাক হচ্ছেন? অবাক হবারই কথা। কিন্তু একটু কষ্ট করে গুগল করলেই আমার কথার যথার্থতা পেয়ে যাবেন। এখন পর্যন্ত প্রমানিত সত্য এই যে, ভাইকিংরা সর্বপ্রথম আমেরিকা আবিস্কার করে। ভাইকিং কারা? বর্তমান নরওয়ে, সুইডেন আর ডেনমার্ক ছিল ভাইকিংদের আদি নিবাস। মানে উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল। এই অঞ্চলটির মাটি খুব রুক্ষ এবং শীত প্রধান হবার কারনে কৃষিকাজ করে জীবন নির্বাহ করা তাদের জন্য খুবই কঠিন কাজ ছিল। তাই তারা সমুদ্র পার হয়ে ডাকাতি করে জীবিকা নির্বাহ করত।ইউরোপের মানুষ ভাইকিংদের এত ভয় পেত যে তাদের পাল্লায় পরলে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করত। জানলে অবাক হবেন, ভাইকিংরা ৭৯৩ সালে প্রথম ইংল্যান্ড আক্রমন করে এবং এগারোশত শতাব্দিতে গোটা ইংল্যান্ড দখল করে নেয়। এরা ছিল মারাত্মক শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান এক জাতি। নৌজাহাজ বানানোতে তাদের ছিল অসম্ভব রকমের দক্ষতা। মনে রাখবেন তাদের বেশির ভাগ হত ব্যর্থ, আর যেগুলো সফল হত সেখান থেকে যারা ফেরত আসত তাদের কাছ থেকে শুনে শুনে আবার আরেকটি দল যাত্রা করত। তারা লেখা-লেখি করতে জানতনা কিন্তু তারা ছিল মেধাবী। এরাই কলোম্বাসের আরও ৫০০ বছর আগে তারা সমুদ্রপথে ইউরোপ থেকে আমেরিকা আবিস্কার করে। পুরো ইতিহাস লিখে দেয়া সম্ভব নয় তাই একটা লিংক দিয়ে দিচ্ছি। পড়ে দেখুন ভাইকিংদের ইতিহাস। খুব ইন্টারেস্টিং। ধন্যবাদ আপনাকে আবারও আমাকে মজাদার এই ইতিহাস মনে করিয়ে দেবার জন্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পলিনেশিয়ানরা প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছানোর আরও অনেক আগেই উত্তর আমেরিকায় নিজেদের পা রাখে ভাইকিংরা।  প্রায় তের হাজার বছর আগে আমেরিকায় আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন উপজাতির উদ্ভব ঘটে যাদের পূর্বপুরুষরা এসেছিল সুদূর সাইবেরিয়া থেকে।এরিক দ্য রেড (৯৫০-১০০৩)-কে নির্বাসন দেওয়ার পর আনুমানিক ৯৮২ সালের দিকে তিনি পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করেন এবং খুঁজে পান বর্তমান গ্রিনল্যান্ড। তার ছেলে লেইফ এরিকসন (৯৭০-১০২০) আরও ভাল কোনো জায়গা খুঁজে পাওয়ার আশায় গ্রিনল্যান্ডের উপকূল ধরে খোঁজা শুরু করেন এবং চলে যান আরও দক্ষিণে। ধারণা করা হয়, গ্রিনল্যান্ড থেকে স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় ফিরে আসার সময় তার জাহাজ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে আরও দক্ষিণে চলে আসে এবং উত্তর আমেরিকার নোভা স্কটিয়া নামক জায়গাটি খুঁজে পান! ঝড় থেকে বেঁচে যাওয়ার কারণে তিনি ‘লেইফ দ্য লাকি’ উপাধিও পেয়ে যান তার স্বদেশী লোকজনের কাছ থেকে। পরবর্তীতে লেইফ ভিনল্যান্ড নামের জায়গায় বসতি স্থাপন করেন এবং ঐখানেই লা’নসে অক্স মিডৌ নামের স্থাপনাটিতেই ভাইকিংদের তৈরি ঘরবাড়ির নিদর্শন পাওয়া যায়, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ১৯৬০ সালের দিকে নরওয়ের অভিযাত্রী হেলগে ইংস্টাড তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এই স্থাপনাগুলো খুঁজে বের করেন। সামান্য কিছু ইতিহাসবিদের মতে লেইফ এরিকসনের আগেও ৯৮৫-৮৬ সালের দিকে বিয়ার্নি হেরলুফসন ভিনল্যান্ডে পা রাখেন, কিন্তু নিখুঁত কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তা নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করা হয়নি। ভাইকিংরা আমেরিকায় বসতি স্থাপন করলেও আমেরিকান আদিবাসীদের তাড়া খেয়ে ভিনল্যান্ড থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়াতেই ফিরে যায়। এদিকে লেইফ এরিকসনের অভিযানের গল্প লোকমুখে ছড়িয়ে পড়তে থাকে স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে। ভাইকিংদের বেশিরভাগই নিরক্ষর হওয়ায় এসব ঘটনা কেউই লিখে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। অবশেষে উত্তর জার্মানির অ্যাডাম অফ ব্রেমেন এসব গালগল্প একজায়গায় করে লিখে ফেলেন Gesta Hammaburgensis Ecclesiae Pontificum এবং এভাবেই শেষ রক্ষা হয় ভাইকিংদের আমেরিকা আবিষ্কারের জয়যাত্রার গল্প। সাইবেরিয়ান আমেরিকা আবিষ্কার মোটেই ৫০০-১০০০ বছরের ঘটনা নয়; আমেরিকা আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে কম করে হলেও ২৩ হাজার বছর আগে! বলা যায়, ভাইকিংরা যাদের তাড়া খেয়ে পালিয়েছিল; ইউরোপিয়ানদের আনা প্লেগ যাদের সবংশে উজাড় করে দিয়েছিল; সেই মায়া-অ্যাজটেক-ইনকা সভ্যতাসহ আমেরিক

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমেরিকা আবিষ্কার করেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ