আামরা তো মুসলিম ঘরে জন্ম গ্রহন করছি আর ইমান আনার প্রয়োজন আছে কি?
মুমিন হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনা। কেউ যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ঈমান না আনে, সে মুমিন নয়। তাই আল্লাহর প্রতি যেমন ঈমান আনতে হবে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতিও ঈমান আনতে হবে। সেই সঙ্গে আল্লাহ তাঁর রাসূলের প্রতি যে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন তার প্রতিও ঈমান আনতে হবে। কোরআন মাজিদে তিনি বলেন : রাসূল (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মাদ সা.) তাতে ঈমান এনেছেন, যা তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে এবং (তাঁর সাথে) মুমিনগণও। তারা সকলে ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফিরিশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। (তারা বলে,) আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না (যে, কারো প্রতি ঈমান আনব আর কারো প্রতি ঈমান আনব না।) (সূরা বাকারা : ২৮৫)। এ আয়াতে আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর নাযিলকৃত কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর প্রতি ঈমান, কিতাবের প্রতি ঈমান, ফিরিশতা ও নবী-রাসূলের প্রতি ঈমান- এগুলোর কী অর্থ সেটা আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে, কোরআনে কারীমের প্রতি ঈমান আনার কী অর্থ এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ঈমান আনার কী অর্থ?
ইমান-ই মুফাসসাল বাংলা অনুবাদ ‘‘আমি ঈমান আনলাম আল্লাহর উপর তার ফিরিশতাদের উপর, তার আসমানী কিতাবসমূহ, তার রাসূলগণ এবং শেষ দিবসের উপর আর এর উপর যে, অদৃষ্টের ভাল-মন্দ আল্লাহ তা’আলার তরফ হতে এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের উপর।’’ - মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জেনে বুঝে সহি শুদ্ধ আমল করার তউফিক দাণ করুক, আমিন।