শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এ বিষয়ে বুঝার জন্য আপনাকে একটি জিনিস জানতে হবে, আর তা হলো সুন্নত সাধারণত দুই প্রকার ১. সুন্নতে মুআক্কাদাহ্ ২. সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদাহ্। সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়, যে আমলকে রাসূল সাঃ ইবাদত হিসেবে পাবন্দীর সাথে করেছেন। কখনো ওজর ছাড়া ছেড়ে দিয়েছেন বা নিজেতো ছাড়েননি কিন্তু যে ছেড়ে দিয়েছে তাকে ভর্ৎসনা করেননি। এরকম আমলকে সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়। {আততাআরিফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ-৩২৮, আলমুজিজ ফি উসুলিল ফিক্বহ-৪৩৯-৪০} সুন্নতে মুআক্কাদা ওয়াজিবের মতই। অর্থাৎ ওয়াজিবের ব্যাপারে যেমন জবাবদিহী করতে হবে, তেমনি সুন্নতে মুআক্কাদার ক্ষেত্রে জবাবদিহী করতে হবে। তবে ওয়াজিব তরককারীর জন্য সুনিশ্চিত শাস্তি পেতে হবে, আর সুন্নতে মুআক্কাদা ছেড়ে দিলে কখনো মাফ পেয়েও যেতে পারে। তবে শাস্তিও পেতে পারে। ﻭﺣﻜﻤﻬﺎ ﻛﺎﻟﻮﺍﺟﺐ -— ﺇﻻ ﺃﻥ ﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻳﻌﺎﻗﺐ ﻭﺗﺎﺭﻛﻬﺎ ﻻ ﻳﻌﺎﻗﺐ - ‏( ﺍﻟﺘﻌﺮﻳﻔﺎﺕ ﻟﻠﺠﺮﺟﺎﻧﻰ 138- আর সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা বলা হয় যা রাসূল সাঃ সর্বদা করতেন না। মাঝে মাঝে ছেড়ে দিতেন ওজর ছাড়াই। আর এর অপর নামই নফল। সুতরাং উক্ত আলোচনা থেকে এ কথা বুঝা গেল যে, সুন্নত যে রকমভাবে নবী (সাঃ) এর, ঠিক তেমনি ভাবে নফলও নবী (সাঃ) এর।