শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কোরবানি যেহেতু একটি ধর্মীয় বিধান তাই কোরবানির পশু নির্বাচনে ধর্মীয় কিছু বিষয় মেনে পশু কিনতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে পশুনির্বাচন করতে হবে জায়েজ পশু :  কোরবানি করার জন্য আমরা সাধারনত উঠ, গরু, বকরী, মহিষ, ছাগল, ভেরা, দুম্বা ব্যবহার করে থাকি । এগুলো ছাড়া কুরবানী শুদ্ধ নয়।এ গুলোকে কোরআনের ভাষায় বলা হয় “বাহীমাতুল আনআম” । পরিণত বয়সের পশু :  শরিয়তের দৃস্টিতে কুরবানীর পশুর বয়সের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরী । উট পাঁচ বছরের, গরু বা মহিষ দু বছরের এবং , ছাগল, ভেরা, দুম্বা এক বছর বা তারো বেশি । ছাগল পূর্ণ এক বছর হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি এতটুকু মোটাতাজা হয় যে এক বছর বয়সী ভেড়া দুম্বার মত, তবে তা দিয়ে কোরবানী করা জায়েজ আছে। গরু ও মহিষ দুই বছর বয়সী এবং উট পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে।এখানে প্রসঙ্গত বিক্রেতা যদি পশু পরিণত বয়সের বলে কিন্তু বাস্তবে তা পরিলক্ষিত না হয়, তবে বিক্রেতার কথার উপর নির্ভর করে এ পশু দ্বারা কোরবানী বৈধ হবে। নিখুঁত পশুঃ হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রিয় নবী (সাঃ) আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা যেন কোরবানীর পশুর চোখ ও কান ভালভাবে পরীক্ষা করে নেই এবং এমন পশু কোরবানী না করি যার কানে ছিদ্র আছে (তিরমিযী শরীফ)। পশুর দামের অংশীদার : ছাগল, ভেড়া, দুম্বা দিয়ে কেবল একজনের পক্ষ থেকে এবং গরু, মহিষ, উট দিয়ে ৭জনের পক্ষ থেকে কোরবানী দেয়া যায়। কোরবানীর পশু মোটা তাজা হওয়া বাঞ্চনীয়। সকল পশু সমান নয়, পশুর মধ্যে খুঁত থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু নিখুঁত পশু দ্বারা কোরবানী দেয়া উত্তম। তবে নিম্ববর্ণিত পশু দ্বারা কোরবানী দেয়া উচিৎ নয় : যে পশুর কান কাটা।ইমাম আবু হানীফা (র.) এর মতে কানের অর্ধেক বা ততোধিক কাটা হলে সে পশু দ্বারা কোরবানী দেয়া উচিৎ নয়। অর্থাৎ জায়েজ নয় তবে অর্ধেকের কম হলে জায়েজ হবে। খোঁড়া , লেজ কাটা অত্যন্ত দুর্বল দাঁতহীন নিখুঁত জন্তুক্রয় করার পর যদি কোরবানী প্রতিবন্ধক কোন ত্রুটি  দেখা দেয়। তখন ক্রেতা যদি নেসাবের অধিকারী না হয়, তাহলে সে জন্তু দ্বারা তার জন্য কোরবানী করা জায়েজ, আর যদি কোরবানী দাতা নেসাবের অধিকারী হয় তাহলে তাকে ঐ পশুর বদলে অন্য পশু কোরবানী করতে হবে। আল্লাহপাক আমাদেরকে সুস্থ সুন্দর ও নিখুঁত পশু দিয়ে আল্লাহর রাস্তায়  এবং আল্লাহর নামে কোরবানী দেওয়ার তওফিক দিন (আমিন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ