শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মানবদেহ একটি ছন্দ বা তালে কাজ করে আর দেহের সমস্ত কার্যক্রম সেটা অনুসরণ করে চলে। যখন আপনি ঠিক সময় মত খাবার গ্রহন করবেন না এর ফলে বিপাকীয় কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে তা ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হৃদরোগ এবং হজমক্রিয়ার সমস্যার মত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার দিকে মোড় নেয়। বুক জ্বলা, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকেই খুব সমস্যায় ভুগি। আবার আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা খুব বেশি খাবার না খেয়েও অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় আছেন। তাই এসব সমস্যার সমাধান খুঁজতে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খেতে হবে। কারন অস্বাভাবিক ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস হচ্ছে বেশ বড় একটি ভুল যা স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যেকোনো সময়ের খাবার বাদ দেয়া এবং সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ভারসাম্যের উপরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই নিয়মিতভাবে খাবারের সঠিক সময় মেনে চলতে হবে। মানবদেহ একটি ছন্দ বা তালে কাজ করে আর দেহের সমস্ত কার্যক্রম সেটা অনুসরণ করে চলে। যখন আপনি ঠিক সময় মত খাবার গ্রহন করবেন না এর ফলে বিপাকীয় কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে তা ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হৃদরোগ এবং হজমক্রিয়ার সমস্যার মত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার দিকে মোড় নেয়। আধুনিক বিশ্বে এমনকি আমাদের দেশেও যেখানে অনেক মানুষ রাতের বেলাতেও কাজ করে সেখানে সঠিক সময়ে খাবার গ্রহন করা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু যদি স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সঠিক উপায়ে খাবারের ব্যবস্থা করে সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া সম্ভব। সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার গুরুত্ব জানা থাকলে তা আপনাকে নির্ভুল খাদ্যাভ্যাস তৈরিতে সাহায্য করবে আর তা সাহায্য করবে আপনার স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমানে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই থাকবে আপনার লক্ষ্য। আর এখানে সুস্বাস্থ্যের ব্যাপার জড়িত। তাই সঠিক সময়ে কেন খাবার খাওয়া উচিত তা এখানে তুলে ধরছি। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে আমাদের হজম তন্ত্রের ক্রিয়া হৃদস্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রাখে। নিয়মিত বিরতিতে সঠিক সময়ে খাবার খেলে মোট কলেস্টেরল এবং এলডিএল কলেস্টেরল হ্রাস করে যার ফলে লিপিড বিপাক নিয়ন্ত্রিত হয়। এটা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।এটা ছাড়াও সঠিক সময়ে খাবার খেলে তা অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা কমায়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় সময়মত খাবার গ্রহনের ফলে হজমতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম ডায়বেটিস হওয়ার প্রবণতা প্রতিরোধ করে। এই কাজটি সাধারণত হয়ে থাকে ইন্সুলিন নিয়ন্ত্রন করার মাধ্যমে রক্তের শর্করা মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য। আর সময় মত খাবার খেলে তা ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স প্রতিরোধ করে যা ডায়াবেটিসের অন্যতম কারন। স্থূলতার বিরুদ্ধে কাজ করে জেনে অবাক যে কোন এক বেলা খাবার বাদ দিয়ে নয় বরং সময়মত খাবার গ্রহনের মাধ্যমেই স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই হচ্ছে এর মূল চাবিকাঠি। কারন যারা সঠিক সময়ে খাবার খান তাদের অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহন করার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। সঠিক হজম ক্রিয়ার জন্য একটি বিশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস এবং সময়জ্ঞান শূন্য খাবার গ্রহন আপনাকে নিয়মিত হজমের সমস্যার দুঃস্বপ্নের মাঝে নিয়ে যেতে পারে। হজমতন্ত্রের কার্যক্রমকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হলে সঠিক সময়ের ব্যবধানে নিয়মিত খাবার গ্রহনের কোন বিকল্প নেই। এই অভ্যাস খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে দেহে শোষিত হতে সাহায্য করবে। তাই দুই খাবারের সময়ের মাঝের বিরতি ঠিকভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কারন যথাযথ বিপাক ক্রিয়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নত করে। অ্যাসিডিটি মোকাবেলা করতে অ্যাসিডিটি সাধারণত হয়ে থাকে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের আধিক্য হলে। হজমক্রিয়ার সমস্যার সাথে বুক জ্বালা করার এটিও একটি কারন। দুই বেলা খাবারের মাঝে অতিরিক্ত সময় ব্যবধান হজমতন্ত্রের এনজাইম বেশি সৃষ্টি করে যার ফলে অ্যাসিডিটি হয়।তাই সময়মত সঠিক খাবার খাওয়ার এটিও একটি কারন। লেখক শওকত আরা সাঈদা(লোপা) জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ) মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া।  তথ্য সূত্রঃ বোল্ডস্কাই why-it-is-important-to-eat-on-time

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ