শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

 স্ত্রীর স্তন ধরা ও চোষন করা স্বামীর জন্য বৈধ, আর চোষন করতে গিয়ে যদি স্বামীর পেটে স্ত্রীর দুধ চলে যায় তাতে বিবাহের মাঝে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কেননা কোরআন সুন্নাহর আলোকে এটিকে হারাম বলা হয়নি। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে স্ত্রীর দুধ পান করা মাকরুহ থেকে খালি নয়। নিন্মে সব উক্তিগুলোর প্রমাণ পেশ করা হলো। যেমন দেখুন মহান সত্তার বাণী : { نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ} [البقرة: ٢٢٣ ] অথাৎ : তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদরেকে ব্যবহার কর। (সূরা বাকারা-২২৩) ব্যাখ্যা : উক্ত আয়াতের মাঝে মহান আল্লাহ স্বামী স্ত্রীর সংঙ্গমের আলোচনা করতে গিয়ে স্ত্রির স্তন ধরা, চোষন করা ও ভুল বষত: দুধ পান করা ইত্যাদিকে হারাম বলেন নি বরং বলেছেন তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। তদ্রুপ পবিত্র কোরআনের এই আয়াতের ব্যাখ্যা স্বরূপ রাসূল (সা.) এর হাদীসের মাঝেও উল্লেখিত বিষটি সম্পর্কে কোন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায় না। বরং হাদীসের মাঝে আছে- صحيح مسلم (١/٢٤٦) اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلَّا النِّكَاحَ —– হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) কে মাসিক অবস্থায় স্ত্রির সাথে কি কি বৈধ? এ প্রশ্নের জবাব রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা সব কিছুই করতে পারবে সহবাস ব্যতীত। মুসলিম হাদীস-৩০২। উক্ত হাদীসের মাঝেও রাসূল (সা.) স্ত্রীর স্তন ধরা ও চোষন ইত্যাদিকে নিষেধ করেন নি। আর চোষন করতে গিয়ে যদি স্বামীর পেটে স্ত্রীর দুধ চলে যায় তাতে বিবাহের মাঝে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। কেননা মহান আল্লাহ ও রাসূল (সা.) দুধ পান করানো দ্বারা একজন অন্য জনকে বিবাহ করা হারামের যে বিধান আরোপ করেছেন, তা শুধু মাত্র শিশুবেলার সাথে সম্পর্ক। দেখুন এসম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন- وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ – النساء : ٢٣ অর্থ : তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে যারা তোমারেদকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ বোন……… (সূরা নিসা-২৩) আর সহীহ বুখারীর বর্ণনার মাঝে এসেছে- صحيح البخاري (٣ /١٧٠) ٢٦٤٥ -حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بِنْتِ حَمْزَةَ: «لاَ تَحِلُّ لِي، يَحْرُمُ مِنَ الرَّضَاعِ مَا يَحْرُمُ مِنَ النَّسَبِ، هِيَ بِنْتُ أَخِي مِنَ الرَّضَاعَةِ – হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হযরত হামজা (রা.) এর কন্যাকে বিবাহের বিষয়ে রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাকে বিবাহ করা তোমার জন্য বৈধ না। কেননা দুধ পান করার দ্বারা যেমন বিবাহ হারাম হয়, তেমনি বংশের কারণেও হারাম হয়, আর হামজা (রা.) এর কন্যা তোমার দুধ বোন। বুখারী-৩/১৭০, হাদীস-২৬৪৫। শিশু বয়সে দুধ পান করানো দ্বারা শুধু মাত্র বিবাহ বন্ধন হারাম হয়, এর সময় সিমা বর্ণনা দিতে গিয়ে, মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন- وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ -البقرة : ٢٣٣ অর্থ: আর সন্তানবর্তী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। সূরা বাকারা-২৩৩। উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা আমরা স্পষ্ট যে, শিশু কাল তথা যে সময়ের কথা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ঐ বয়সে বিবাহ বা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কোথাও দেখা যায় না। অতএব স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করা দ্বারাও বিবাহের মাঝে কোন সমস্যা হবে না। সূত্র : breakingbdnews24

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামে স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। আপনার স্ত্রীর দুধ আপনার সন্তানের জন্য নির্ধারিত। আপনার স্ত্রী যদি সন্তানবতী হয়ে থাকে এবং তাঁর স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যদি দুধ বেরিয়ে মুখে চলে আসে তাহলে সে দুধ “কণ্ঠনালী”তে যাওয়ার পূর্বেই ফেলে দিতে হবে, যেহেতু স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। আর স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যদি দুধ বেরিয়ে আসে তাহলে স্বামীকে এটা করা ছেড়ে দিতে হবে। এর পরিবর্তে স্ত্রীর কাম উত্তেজনা জাগাতে তাঁর স্তন মর্ধন করে উত্তেজনা জাগাতে পারেন। স্ত্রীর দুধ পান করার ব্যতিত স্তন টিপুনি, মর্দন, চুম্বন করা জায়েয আছে। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ