শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

(১) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপর কোনে চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু বের হতে পারেনা। বরং তা উপর দিকে উঠে যায়। ফলে অস্থিরতা বাড়ে, রক্ত চাপ বাড়ে, হৃদযন্ত্রে স্পন্দন বাড়ে, খাদ্যনালী দিয়ে বার বার হিক্কা আসতে থাকে। (২) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো থলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলিতে চাপ লাগে ফলে সহজেই ওসব দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। (৩) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কিডনিতে অতি সহজে পাথর সৃ্ষ্টি হয়। (৪) দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ কমতে থাকে। (৫) যারা নিয়মিত দাড়িয়ে প্রস্রাব করেন তাদের অবশ্যই শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনী রোগ হবেই। (৬) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পরিবেশ দূষিত হয়। সেই দূষিত বায়ু আমাদের দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে। (৭) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিটা দেহে ও কাপড়ে লাগে ফলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। দাঁড়িয়ে পানি খেয়ে নিজের অজান্তেই শরীরের যে মারাত্মক ক্ষতি করছেন আপনি পানির অপর নাম জীবন। তাই পানি ছাড়া বেঁচে থাকাটা প্রায় অসম্ভব।আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে তাই পানি পানের বিকল্প নেই। কিন্তু কতটুকু পানি পান করব সারা দিনে? কখন বেশি আর কখন কম পানি পান করা উচিত? পর্যাপ্ত পানি পানের যেমন সুফল আছে, তেমনি অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে পানি পানের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে? পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ মানুষেরই এই বিষয়ে কোনও জ্ঞান নেই। ফলে পানি পান করে সবাই তৃষ্ণা তো মেটাচ্ছে কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরেরও মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছে। যেমন ধরুন, কখনই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিত নয়। দাঁড়ানো অবস্থায় কখনও পানি পান করবেন না। কারণ এমনটা করলে শরীরে ভিতরে থাকা ছাকনিগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে পানিতে উপস্থিত অস্বাস্থ্যকর উপাদানগুলি রক্তে মিশতে শুরু করবে। ফলে এক সময়ে গিয়ে শরীরে টক্সিনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে একাধিক অঙ্গের উপর তার খারাপ প্রভাব পরতে শুরু করে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরে আরও নানাভাবে ক্ষতি হয়। চলুন আজ জেনে নিব সেই সম্পর্কে- পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়ঃ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। সেই সঙ্গে স্টমাকে উপস্থিত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ফলে বদ হজমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে তলপেটে যন্ত্রণাসহ আরও নানা সব শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়ঃ দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের সাথে সরাসরি যোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে শরীরের ভিতর থাকা কিছু উপকারি রাসায়নিকের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা ভুলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না। মানসিক চাপ বেঁড়ে যায়ঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে একাধিক নার্ভে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই মানসিক চাপ বা অ্যাংজাইটি বাড়তে শুরু করে। অকারনে মানসিক চাপ কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ঃ দাঁড়িয়ে পানি পান করার সময় শরীরের ভিতর থাকা একাধিক ফিল্টার ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে পানীয় জলের মধ্যে থাকা একাধিক ক্ষতিকর উপাদান প্রথমে রক্তে গিয়ে মেশে, তারপর সেখান থেকে কিডনিতে এসে জমা হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে এক সময় কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই আজ থেকে ভুলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ