শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শবে বরাতে বর্জনীয় কার্যাদি : এই রাতে নির্দিষ্ট কোনো আমল বা নির্দিষ্ট সংখ্যায় কোনো কাজকর্ম কুরআন হাদিসে বর্ণিত নেই, নেই নামাজের কোনো নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা, ভিন্ন কোনো পদ্ধতি। এই রাতে নামাজ দুআ ও কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি নফল আমলের অন্তর্ভুক্ত আর যাবতীয় নফল আমল আপন আপন ঘরে একাগ্রচিত্তে পড়া উত্তম। তাই এই রাতে নফল নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জমকালো আনুষ্ঠানিকতা করা ঠিক নয়। তবে কোনো ধরনের আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতা ব্যতীত মসজিদ নামাজের স্থান হিসেবে এতে সমবেত হয়ে গেলে কোনো আপত্তির কারণ নেই। অনুরূপভাবে হালুয়া, রুটি, মিষ্টি বিতরণ এবং বাসাবাড়ি মসজিদ, দোকান, অফিস ইত্যাদিতে আলোকসজ্জা করা, পটকাবাজি, আতশবাজি, কবরস্থানে পুষ্প অর্পণ, আলোকসজ্জা করা ইত্যাদির কোনো ভিত্তি নেই। সাহাবায়ে কেরাম ও নির্ভরযোগ্য আলেমদের অনুসৃত আমলে এর কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ মিলেনি। তাই সব কুসংস্কার পরিপূর্ণরূপে পরিহার করা অত্যন্ত জরুরি। তবে কবরস্থানে যাওয়ার ব্যপারে হজরত আয়শা (রা.) থেকে যে হাদিস বর্ণিত আছে, সেটা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- রাসূল (সা.) জান্নাতুল বাকীতে একাকী গিয়েছিলেন, দলবদ্ধভাবে নয়। তাই কবর জিয়ারতের নামে দলবদ্ধ হওয়া, সংঘবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান করা, জশনে জুলুসের জমকালো অনুষ্ঠানে পরিণত করা, কবরে আলোকসজ্জা করা, বিনোদন ও নারী পুরুষের মিলনমেলায় পরিণত করা ইত্যাদি শবে বরাতের নামে বাড়াবাড়ি ও ধর্ম বিকৃতির নামান্তর। এসবই ইসলামী আদর্শ বিবর্জিত রাসূল (সা.) ও সাহাবাদের আমল থেকে অনেক দূরে। তাই শরিয়তের যাবতীয় ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও চরমপন্থা পরিহার করে শরিয়তকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে বোঝার ও সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।