শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে, এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন; আল্লাহ মহাজ্ঞানী রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমনকি যখন মাথার উপর মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে - আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফুরি(অবাধ্য) অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। — কুরআন, সূরা ৪ (আন-নিসা), আয়াত ১৭-১৮ কোরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ নিজেকে দয়ালু, মহানুভব ও ক্ষমাশীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, সূরা হাশরের ২২ নং আয়াতে তিনি বলেন তিনি আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন। তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। প্রত্যেক সূরার শুরুতে পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে শুরু করছ আয়াতটির ব্যবহার এই সত্যকে আরো জোড়ালো করেছে। কোরআন এবং হাদীসের বর্ণনা মতে আল্লাহতা’লার সর্বব্যাপী রহমতে যেকোন বড় গুনাহও (কবিরা গুনাহ) মাফ হতে পারে, শর্ত থাকে যে গুনাহগার ব্যক্তি আন্তরিক তওবা করেছে। আল্লাহ বলেন: নিশ্চই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার আপরাধ ক্ষমা করবেন না; এটা ছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন —সূরা নিসা (০৪), আয়াত ৪৮।

গীবত কারীর।