শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

[rainbow]ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা এবং রাজবংশের তালিকা: ভারত উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতা হচ্ছে সিন্ধু সভ্যতা। তরে এর কোনো চিহ্ন বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি। এই সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ২৭০০ অব্দে ভারত উপমহাদেশের সিন্ধু, সরস্বতী, হাকরা ইত্যাদি নদ-নদীর অববাহিকায় গড়ে ওঠে। এ সভ্যতার বড় দুটি নগরের একটি হরপ্পা আর অন্যটি মহেঞ্জোদারো। সিন্ধু সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতা নামেও পরিচিত। এটি ভারত উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতা। উন্নত নগর পরিকল্পনা দেখা যায় এখানে। নগরের রাস্তা, রাস্তার পাশে ডাস্টবিন, সড়ক বাতি, পানি নেমে যাওয়ার জন্য ড্রেন সব কিছুই ছিল একেবারে সাজানো। শস্য জমা রাখার জন্য বিশাল শস্যাগারও পাওয়া গেছে এখানে। মহেঞ্জোদারো নগরে আবিষ্কৃত হয়েছে এক বিশাল গোসলখানা। অনেকটা এখনকার সুইমিং পুলের মতো। বিস্তৃত এই সভ্যতায় অসংখ্য সিল পাওয়া গেছে। সিলের গায়ে লিপির মতো চিহ্নগুলোর পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই সভ্যতার পাথরের বাটখারা ও পুঁতিগুলো খুবই আকর্ষণীয়। সিন্ধু সভ্যতায় ছিল আন্তর্বাণিজ্য ও বহির্বাণিজ্য ব্যবস্থা। ভারত উপমহাদেশের দ্বিতীয় নগর সভ্যতার নিদর্শন বগুড়ার বরেন্দ্রভূমি মহাস্থানগড়ে এবং নরসিংদীর মধুপুর ভূমি উয়ারী-বটেশ্বরে আবিষ্কৃত হয়েছে। মহাস্থানগড়ে অবস্থিত প্রাচীন নগরটির নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পুণ্ড্রনগর গড়ে উঠেছিল। উয়ারী-বটেশ্বরে অবস্থিত আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরটির নাম এখনো জানা যায়নি। ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন রাজবংশ: সমসাময়িক কালে ভারত উপমহাদেশের ১৬টি বিখ্যাত জনপদের নাম জানা যায়। এই জনপদগুলো ছিল এক একটি পৃথক রাষ্ট্র। ভারত উপমহাদেশের অন্য জনপদগুলোর মৌর্য যুগপূর্ব রাজনৈতিক ইতিহাস অল্পবিস্তর জানা যায়। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ অংশের ইতিহাস মৌর্য যুগের সম্রাট অশোকের সময় থেকে জানা যায়। শুঙ্গ ও কুষাণ রাজবংশ: মৌর্য যুগের পর ভারত উপমহাদেশের অনেক অঞ্চলে শুঙ্গ ও কুষাণ রাজাদের শাসন ছিল। বাংলাদেশ অঞ্চলে শুঙ্গ ও কুষাণ যুগের কিছু পোড়ামাটির ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু শাসন বিস্তারের কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। গুপ্ত রাজবংশ: গুপ্তরা মূলত ভারত উপমহাদেশের উত্তর অঞ্চলের শাসক ছিলেন। বাংলাদেশের উত্তরাংশে পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তি নামে একটি প্রদেশ গুপ্তদের শাসনাভুক্ত ছিল।[/rainbow]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ