শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বৈজ্ঞানিক মতবাদ হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন৷ বৈজ্ঞানিক মতবাদের প্রথম শর্ত হল আপনি অলৌকিক কিছুতে বিশ্বাস করতে পারবেননা, তা যতই যৌক্তিক হোক না কেন! উল্লেখ্য, মানুষের যুক্তিবুদ্ধি এবং সেই সাথে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাই হল বিজ্ঞান৷ আল্লাহ ও তার ওহীকে যেহেতু বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণ করা যায়না, তাই বিজ্ঞান এগুলো স্বীকার করেনা৷ কিন্তু, বিজ্ঞান কি এগুলোকে অস্বীকার করে? যুুুক্তির মানদন্ডে বিচার করলে আমাদের বলতে হবে, বিজ্ঞান এখানে নিরব; স্বীকারও করেনা, অস্বীকারও করেনা৷ কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমেে বিজ্ঞান প্রমাণ করতে পারেনি যে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই৷ হযরত মুহাম্মদ (স) এর নিকট কোনো ওহী আসেনি৷ তাহলে সেগুলো অস্বীকার করার কি যুক্তি হতে পারে? অনেকে বলবেন, যাকিছু নেই, তার প্রমাণ হয়না, বরং যাকিছু আছে, তারই অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায়৷ সুতরাং, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করার দায়িত্ব বিজ্ঞানের নয়; বরং তাদের যারা তার অস্তিত্ব দাবী করে৷ অবশ্যই এটা মোটামুটি যৌক্তিক৷ কিন্তু, পুরোপুরি যৌক্তিক নয়৷ ধর্ম পুরোপুরি বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল৷ ইসলম ধর্মও তাই৷ এর শর্তই হল না দেখে বিশ্বাস করা; আপনি প্রমাণ করতে পারেন বা না পারেন৷ তার মানে এটা নয় যে এর প্রমাণ নেই! কিন্তু, সেই প্রমাণ করার দায়িত্বটা ধর্মের নয় এবং ধর্ম তা প্রমাণ করতে বাধ্য নয়৷ যুক্তি-প্রমাণের জন্য ধর্ম থেমে থাকেনা৷ তাবে কার ধর্মের প্রমাণ কতটা শক্তিশালী, সেটা দেখার বিষয়৷ আসলে সমস্যাটা বিজ্ঞানের নয়, বিজ্ঞানীদের৷ আর, বিজ্ঞান যেহেতু বিজ্ঞানীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তাই এগুলোকে আমরা বিজ্ঞানের সমস্যা বলে মনে করি৷ মুসলিম হিসেবে আমরা সৌভাগ্যবান যে, আমাদের ধর্ম Religion without science নয়৷ বরং, The most scientific religion on Earth! সুতরাং, আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, Were Muslims & were not blind. কিন্তু, Science without religion is lame. অর্থাৎ, ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান ব্যার্থ! এর চরম সত্যতা আমরা লক্ষ করি যখন দেখি, বিজ্ঞান সৃষ্টির শুরু ব্যাখ্যা করতে পারেনা! কীভাবে করবে? তারা কেউ কি তা দেখেছে? শুধু শুধু মনকে সান্তনা দেওয়ার কিছু তত্ত্ব তারা তৈরী করেছে৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা তো কেবল অনুমান এবং মনের খেয়াল-খুশীরই অনুসরণ করে, অথচ অবশ্যই তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের তরফ হতে পথ-নির্দেশ এসেছে। সুরা নাজম 53: 23 পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি কীভাবে হল? কীভাবে এত প্রজাতির প্রাণী পৃথিবীতে এলো? দুনিয়ার কেউই তা দেখেননি! অথচ, একদল বিজ্ঞানী ভেবে নিলেন, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেই সবকিছুর সুত্রপাত; আরেকদল ধার্মিক বিশ্বাস করলেন, সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমেই সবকিছুর সূত্রপাত৷ সেই বিজ্ঞানীর দলের নিকট কি প্রমাণ আছে? তারা শুধু অনুমান করে নিয়েছে যে, অমুক অমুকভাবে হওয়া সম্ভব৷ কিন্তু, এই ব্যাপারে কোনো প্রমাণই নেই! কিন্ত, একথা কখনো আমাদের তারা জানায় না যে, সেই অমুক অমুকভাবে সবকিছু হওয়ার সম্ভাবনা নিতান্তই ক্ষিণ! অলৌকিকের চেয়েও অলৌকিক; অসম্ভবের চেয়েও আরো বড় অসম্ভব!— জীবের উৎপত্তি কি সেই আদি উত্তপ্ত বিশৃঙ্খল পরিবেশেে মৌলসমূহের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটেছিল? আদৌ কি সম্ভব? —DNA হচ্ছে জীবনের রাসায়নিক ভিত্তি। এ DNA এর উপাদান ৫টি কার্বন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও ফসফরাস। DNA গুলো অ্যামিনো এসিড তৈরী করে আর এই অ্যামিনো এসিডগুলো প্রোটিন তৈরী করে। আজকের বিজ্ঞান আমাদের বলে একটি DNA অনু যদি হঠাৎ করে তৈরী হত, [যেটা অনেক বিজ্ঞানী মনে করে থাকেন: দেখুন #ওপারিনের_মতবাদ] অর্থাৎ, ধরুণ, একটি পাত্রে কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), নাইট্রোজেন (N) অক্সিজেন (O), ফসফরাস (P) ইত্যদি মৌলসমূহ রয়েছে; পত্রটিতে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ও চাপ উভয়ই বিদ্যমান; এমতাবস্থায়, এসকল মৌলসমূহ নিজেরা বিক্রিয়া করে একটা DNA অণু তৈরীর সম্ভাবনা 1÷10^268 (অর্থাৎ, 0.00000000000000000000000000000000000………000000000000000000……….……….……….(এভাবে দশমিকের পর ২৬৮ টি 0, তারপর 1)…………….……………….0000000000000000000001 যা শুণ্যের কাছাকাছি। এমনকি বিশ্ব জগতের সব অনুপরমানু একত্রিত করেও একটি DNA তৈরী করা সম্ভব না। সুতরাং, বিজ্ঞান অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু, খেয়াল রাখবেন যেন তা আপনাকে ধোকাগ্রস্থ না করে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ