শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনাকে কে বলল মুসলমানরা কা’বা-কে উপাসনা করে? কা’বা কি দেব-দেবী নাকি? আর আপনি আল্লাহ্কে কতটুকু চিনেন? বিশ্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর মহাক্ষমতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন: ‘বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন, অতঃপর আল্লাহ পুনর্বার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশক্তিমান’ [আনকাবুত ২৯/২০] অন্যত্র তিনি আরো বলেন: ‘আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভর দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [নূর ২৪/৪৫] আল্লাহ আরো বলেন: ‘নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ে অবস্থিত সবকিছুর আধিপত্য আল্লাহরই। তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান বা ক্ষমতাবান’ [মায়েদাহ ৫/১২০] অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘আল্লাহর জন্যই হ’ল আসমান ও যমীনের বাদশাহী। আল্লাহই সর্ববিষয়ে ক্ষমতার অধিকারী’ [আলে ইমরান ৩/১৮৯] মহান আল্লাহ বলেন: ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তিনি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [হাদীদ ৫৭/২] মহান আল্লাহ বলেন: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং ফেরেশতাগণকে করেছেন বার্তাবাহক। তারা দুই দুই, তিন তিন ও চার চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টির মধ্যে যা ইচ্ছা যোগ করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [ফাতির ৩৫/১] তিনি আরো বলেন: ‘নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান’ [তাগাবুন ৬৪/১] মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি স্বয়ং শ্রেষ্ঠ, মহাজ্ঞানী, পরাক্রমশালী ও সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। তাহলে মুসলমানরা কোন দুঃখে কা’বা-র উপাসনা করবে? কা’বা তো শুধুমাত্র সালাত আদায়ের দিক মাত্র। কিয়ামতের সময়ে ক্লিয়ার্লি কা’বা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই প্লিজ কথা বলার আগে ১৫-২০বার চিন্তা করবেন। না পারলে ১০০-১৫০ বার চিন্তা করুন। তা–ও না পারলে ঐ বিষয় নিয়ে কথা বলার দরকার নাই আর আমি আপনাকে সাহায্যও করতে আসবো না (আমিই বা সাহায্য করার কে?)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ