শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইয়ার ওয়াক্স’ যাকে অনেকে কানের খৈল বলে থাকেন। এই খৈল হলো কানের ভেতর গ্ল্যান্ডে সৃষ্ট এক ধরনের পদার্থ। এগুলো অনেক সময় গাঢ় রঙের হয়। এটি যদি নরম ও অল্প পরিমাণে থাকে তাহলে তা কোনো সমস্যা করে না। এটি কানের লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এটি এনজাইমও বটে। অনেকে একে ময়লা বলে মনে করলেও তা বাস্তবে ক্ষতিকর নয়। সাধারণত ছোট ছোট দলা আকারে ‘ইয়ার ওয়াক্স’ নিজেই কান থেকে পড়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো কিছুই করতে হয় না। অতিরিক্ত ইয়ার ওয়াক্সের ঝুঁকি কানে ‘ইয়ার ওয়াক্স’ যদি অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যায় তাহলে তা অনেক সময় ত্বকে চাপ দেয়। এ সময় নানা কারণে ব্যথা সৃষ্টি করে বা চুলকানি হতে পারে। এক্ষেত্রে কানে পানি ঢোকা, শাওয়ার, শ্যাম্পু ব্যবহার, কানে তেল প্রবেশ বা ভাইরাস ইনফেকশনের কারণেও এটি হতে পারে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এ সমস্যা বেশি হয়। যখন ঝুঁকিপূর্ণ : i) কানে শুনতে সমস্যা বা কান বন্ধ হওয়া। ii) কানে চুলকানি, যা সাধারণত ‘ইয়ার ওয়াক্স’ শক্ত হয়ে গেলে হয় iii)কানে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দ শোনা, হাচ্চি-কাশির কারণেও সমস্যা হতে পারে। কাঠি বা ইয়ার বাড ব্যবহার করা : ইএনটি বিশেষজ্ঞ ড. বি.এম. অ্যাবরোল বলেন, কানের ময়লা পরিষ্কারের জন্য কখনই কাঠি বা ইয়ার বাড ব্যবহার করা উচিত না। কারণ এতে কানের ‘ইয়ার ওয়াক্স’ আরো ভেতরে চলে যায়। অনেকে কাঠিতে তুলা বা কাপড় দিয়ে কান পরিষ্কারের চেষ্টা করেন। বাজারে পাওয়া যায় এমন ‘ইয়ার বাড’ দিয়েও অনেকে কান পরিষ্কারের চেষ্টা করেন। তবে এটি মোটেও উচিত নয়। কারণ এতে কানের ‘ইয়ার ওয়াক্স’ আরো ভেতরে চলে যায়, যা সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।