শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

➤একজন বাইরের বেগানা মহিলার অথবা পুরুষের হাত সহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্পর্শ করার আগে হাদিস টা মনে রাখেন.. ☞রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করার পর অবৈধভাবে কোন মহিলার সাথে সহবাস করার মত বড় পাপ আর নাই”।[আহমদ, তাবারানী] ☞“মানুষ তার সমগ্র ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে জিনা করে। দেখা হচ্ছে চোখের জিনা,ফুঁসলানো কণ্ঠের জিনা, তৃপ্তির সাথে কথা শোনা কানের জিনা, হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের জিনা, কোনো অবৈধ উদ্দেশ্যে পথ চলা পায়ের জিনা, এভাবে ব্যভিচারের যাবতীয় ভূমিকা যখন পুরোপুরি পালিত হয়, তখন লজ্জাস্থান তার পূর্ণতা দান করে অথবা পূর্ণতা দান থেকে বিরত থাকে” -বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ) ” ☞” নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেওয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক ভালো, যে তার জন্য মোটেই হালাল নয়।” – ত্বাবারানী ২০/২১২ রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন “আমি মেয়েদের সাথে মুসাফাহা করিনা।” – (আহমাদ-৬/৩৫৮) ☞রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ” তোমাদের কারো মাথায় যদি লোহা দিয়ে আঘাত করা হয়, তবু এটা তার জন্যে ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে উত্তম – যে তার জন্যে বৈধ নয়। “(তাবরানি, সহীহুল জামে-৪৯২১ ) ☞“আমি মেয়েদের হাত স্পর্শ করিনা।” – (সহীহুল জামে হাদীস নং ৭০৫৪) ☞এ প্রসংগে মা আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, “আল্লাহর শপথ, রসুল (সঃ) এর হাত কখনোই কোন বেগানা নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি কথার মাধ্যমে তাদেরকে বায়’আত করাতেন।” – (মুসলিম ৩/১৪৭৯) ➤কিন্তু আজকে সেই নবীর উম্মত হিসেবে আমরা তো মূলত প্রতিযোগিতাই নেমেছি তাইনা? আজকে কেউ কারো যদি গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড না থাকে তাহলে মনে হয় জীবনটাই বৃথা! আবার কেউ যদি দ্বীনকে পরিপূর্ণ ভাবে মেনে চলে হারামকে-হারাম এবং হালালকে- হালাল হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে তাঁকে বলে ব্যাকডেটেড বা মধ্যযুগীয়,, আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়াতুবু ইলাইহি। আল্লাহ আমাদের এইসমস্ত বেহায়াপনা থেকে মুসলিম নারী-পুরুষ সমাজকে আল্লাহ্ হেফাজত করুক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ