শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

লেখা সুন্দর করার তিনটি মাধ্যম- ১.‘সুন্দর’ করে লেখার বিষয়ে নিজের আগ্রহ বা ইচ্ছে থাকা, ২. হাতের লেখা ‘সুন্দর’ করার সঠিক ও সহজ কৌশল বা উপায় জানা। ৩. নিয়মিত হাতের লেখার চর্চা করা। হাতের লেখার মাধ্যমে বোঝা যায়, মানুষের মনোযোগ, স্থিরতা ও চিন্তা করার ক্ষমতা। ‘সুন্দর’ হাতের লেখার প্রশংসা সবাই করে। আর হাতের লেখা ‘সুন্দর’ হলে পরীক্ষায়ও ভালো নম্বর পাওয়া যায়। *** নীচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে হাতের লেখা অবশ্যই ‘সুন্দর’ হবে- ১। প্রতিটি অক্ষর বা বর্ণ স্পস্ট হতে হবে, যাতে আলাদা-আলাদা ভাবে বোঝা যায় যে, ঠিক কোন অক্ষর লেখা হয়েছে। বাংলা লেখার ক্ষেত্রে, মাত্রার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। ইংরেজির ক্ষেত্রে ‘ক্যপিটাল’ ও ‘স্মল’ লেটার সঠিকভাবে লিখতে হবে। ২। লেখার স্টাইল বা ধরণ (যেমন, সোজা/খাড়া বা বাঁকা/কাত) যে রকমই হোক না কেন, অক্ষরগুলোর আকার ও আকৃতি একই রকম হতে হবে। অক্ষর ছোট-বড় বা মোটা-চিকন করা যাবে না। ৩। এমন কিছু অক্ষর আছে যেগুলো সঠিকভাবে লিখতে পারলে অন্য অনেক অক্ষরও ভালো ভাবে লেখা যায়। যেমন, ‘ব’ সুন্দর করে লিখতে পারলে আরো লেখা যায় ‘ক’ ‘র’ ‘ধ’ ‘ঝ’ বা ‘ঋ’। আবার কিছু অক্ষর-এর অংশ বিশেষ ব্যবহার করা যায় অন্য অক্ষর-এর মধ্যে। ৪। শব্দ লেখার ক্ষত্রে, অক্ষরগুলোর মধ্যে কম কিন্তু সমান দূরত্ব রাখতে হবে। প্রতিটি শব্দের মধ্যে কমপক্ষে একটি অক্ষরের পরিমাণ দূরত্ব থাকতে হবে। ৫। অবশ্যই লাইন সোজা হতে হবে। লাইন সোজা করতে শুরুতে দাগ টানা খাতায় লেখা চর্চা করা যেতে পারে। ৬। লেখার কগজের বামে, ডানে, উপরে ও নীচে সঠিক মার্জিন রাখতে হবে। প্রয়োজনে, ভাঁজ করা অথবা দাগ টেনে নেওয়া যেতে পারে। ৭। কোনো শব্দ বা লাইন ভুল হলে তা এক দাগে কেটে দিতে হবে। বেশী কাটাকাটি করা যাবে না। ৮। দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন, ‘আ’কার-‘ই’কার ইত্যাদি ছোট ছোট অংশের প্রতি নজর দিতে হবে। বিন্দু বা গোল চিহ্ন-গুলো সঠিকভাবে গোল করতে হবে। সবশেষে, খেলাধুলা বা পড়ালেখার মত, হাতের লেখা ভালো করার ক্ষেত্রে নিয়মিত চর্চার বিকল্প নেই। প্রথমে আস্তে আস্তে ভালো করে লিখতে হবে। পরবর্তীতে দ্রুত লিখলেও লেখা ভালো হবে।