শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

 সহীহ হাদিস অনুযায়ী এশার নামাজ প্রধানত মোট ৬ রাকায়াত। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় জোহর, আসর ও ইশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট যোহর, আসর ও এশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়। অর্থাৎ ইশার ৪ রাকায়াত ফরজ। এবং তারপর ২ রাকায়াত সুন্নাত এই ২ রাকায়াত সুন্নাত হল সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পূর্বে ও পরে ১২ রাকায়াত সুন্নাত নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া তা ত্যাগ করতেন না। এই জন্য এই ১২ রাকায়াত সুন্নাতকে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলা হয়। সুন্নতে মুয়াক্কাদার মর্যাদা প্রায়ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়। আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সুন্নাত নামাজ সম্পর্কে আমি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার পর ২ রাকায়াত সুন্নাত সালাত আদায় করতেন। (সংক্ষিপ্ত) আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিয়মিত বারো রাকআত সুন্নাত নামাজ পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। তা হচ্ছে, যোহরের ফরজের আগে ৪ রাকায়াত ও ফরজের পরে ২ রাকায়াত, মাগরিবের ফরজের পরে ২ রাকায়াত, এশার ফরজের পরে ২ রাকায়াত এবং ফজরের (ফরযের) পূর্বে ২ রাকায়াত। রেফারেন্সঃ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), হাদিস নম্বরঃ ৪৩৬ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১১৪০ হাদিসের মানঃ সহিহ। এশার ৪ রাকায়াত ফরজ নামাজের আগে ৪ রাকায়াত গায়েরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আছে। গায়েরে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ ঐচ্ছিক তবে একেবারে বাদ দেয়া যাবে না। এশার আগে এই  ৪ রাকায়াত সুন্নাত নামাজ সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। অধিকাংশ মানুষ এশার নামাজের পর বেতরের নামাজ পড়েন এবং তা এশার নামাজের রাকাতের সাথে হিসাব করেন। বাস্তবে বেতরের নামাজ এশার নামাজের রাকাতের সাথে হিসাব করা যাবেনা। বেতরের নামাজ এশার নামাজের অংশ নয়, এটি ভিন্ন একটি নামাজ। এটি শেষ রাতের তাহাজ্জুদ নামাজের পর পড়া উত্তম। তবে যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাহারা এশার নামাজের পর পড়ে নেন। এটিকে প্রচলিত হিসাবে অনেকেই এশার নামাজের অংশ মনে করেন যা ঠিক নয়। বেতরের নামাজ হাদিস অনুযায়ী ১,৩,৫,৭ রাকাত পড়া যায়।  কার্যকরী ২টি তথ্যসূত্রঃউইকি ও এনটিভি-ধর্ম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ