লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব। এটি শরীরের জন্য উপকার। বলা হয়, লেবু-মধু একসঙ্গে হালকা গরম পানি দিয়ে খেলে বিপাক (মেটাবলিজম) সক্রিয় হয়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ ওজন কমাতে পারে—এটি গবেষণায় সেভাবে প্রমাণ না হলেও এই মিশ্রণ ত্বককে ভালো রাখতে ও ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে খুবই উপকারী। এই মিশ্রণটি কোনো মহৌষধ নয় যে পান করলেই ওজন কমে যাবে। সঠিক জীবনযাত্রা, হাঁটা ও ক্যালরি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষম খাবার গ্রহণ করা ছাড়া শুধু লেবু-মধু-পানি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব নয়। বরং অতিরিক্ত লেবু খেলে তা কিডনির জন্য ঝুঁকি। আবার বেশি লেবু খেলে বুক জ্বালাপোড়া, এসিডিটি, এমনকি পেটে ব্যথাও হতে পারে। আবার বেশি মধু খেলে ক্যালরি বেশি হলে তাও ঠিক নয়। ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে মধু-লেবু-পানির ওপর নির্ভর না করে সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমাতে হবে। তবে হ্যাঁ, লেবু-মধু-পানি তাতে সহায়ক হয়ে কাজ করবে। এক গ্লাস গরম পানি (যতটুকু গরম মুখে সইবে), তার সঙ্গে একটি মাঝারি লেবুর অর্ধেক, আর ক্যালরিভেদে আধা বা এক চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালে ডায়টিশিয়ান বা এক্সপার্ট পরামর্শমতে পান করলে ভালো। মধু কতটুকু খাঁটি, তা জানাও অনেক জরুরি। তবে এটা ঠিক, আমি তাদের এই মিশ্রণ খেতে বলি, যারা অনেক ক্লান্ত বোধ করে। এ ছাড়া যাদের মাইগ্রেন রয়েছে, তারা বাইরের রোদে বের হওয়ার সময় এবং রোদ থেকে ফিরে এই মিশ্রণটি খেলে অনেক উপকার পাবে। আবার যারা ব্রেনের কাজ বেশি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তারা এই মিশ্রণ খেলে অনেক উপকার পাবে। খুব কাশি-ঠান্ডা লাগলেও এটি উপকারী। তাই না জেনে অতি স্বাস্থ্যকর একটি তরলকে অস্বাস্থ্যকর না করে তোলাই ভালো। লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।

লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আর মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব। এটি শরীরের জন্য উপকার। বলা হয়, লেবু-মধু একসঙ্গে হালকা গরম পানি দিয়ে খেলে বিপাক (মেটাবলিজম) সক্রিয় হয়। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণ ওজন কমাতে পারে—এটি গবেষণায় সেভাবে প্রমাণ না হলেও এই মিশ্রণ ত্বককে ভালো রাখতে ও ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে খুবই উপকারী। এই মিশ্রণটি কোনো মহৌষধ নয় যে পান করলেই ওজন কমে যাবে। সঠিক জীবনযাত্রা, হাঁটা ও ক্যালরি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষম খাবার গ্রহণ করা ছাড়া শুধু লেবু-মধু-পানি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব নয়। বরং অতিরিক্ত লেবু খেলে তা কিডনির জন্য ঝুঁকি। আবার বেশি লেবু খেলে বুক জ্বালাপোড়া, এসিডিটি, এমনকি পেটে ব্যথাও হতে পারে। আবার বেশি মধু খেলে ক্যালরি বেশি হলে তাও ঠিক নয়। ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে মধু-লেবু-পানির ওপর নির্ভর না করে সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমাতে হবে। তবে হ্যাঁ, লেবু-মধু-পানি তাতে সহায়ক হয়ে কাজ করবে। এক গ্লাস গরম পানি (যতটুকু গরম মুখে সইবে), তার সঙ্গে একটি মাঝারি লেবুর অর্ধেক, আর ক্যালরিভেদে আধা বা এক চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালে ডায়টিশিয়ান বা এক্সপার্ট পরামর্শমতে পান করলে ভালো। মধু কতটুকু খাঁটি, তা জানাও অনেক জরুরি। তবে এটা ঠিক, আমি তাদের এই মিশ্রণ খেতে বলি, যারা অনেক ক্লান্ত বোধ করে। এ ছাড়া যাদের মাইগ্রেন রয়েছে, তারা বাইরের রোদে বের হওয়ার সময় এবং রোদ থেকে ফিরে এই মিশ্রণটি খেলে অনেক উপকার পাবে। আবার যারা ব্রেনের কাজ বেশি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তারা এই মিশ্রণ খেলে অনেক উপকার পাবে। খুব কাশি-ঠান্ডা লাগলেও এটি উপকারী। তাই না জেনে অতি স্বাস্থ্যকর একটি তরলকে অস্বাস্থ্যকর না করে তোলাই ভালো। লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।